এক মাস আগে এবং পরে। পুলিশকর্মীর ছবি পোস্ট করেছে বনগাঁ জেলা পুলিশ। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
পুলিশের কেন ভুঁড়ি? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। শরীরের যত্ন না-নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকুনিও খেয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মী। এ বার ঝরঝরে এবং নির্মেদ হয়ে ওঠার জন্য পুরস্কৃত হলেন বাংলার দুই পুলিশকর্মী। এক জনের নাম মিঠুন ঘোষ, অন্য জন রমেন দাস। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুলিশ জেলায় কর্মরত ওই দুই কনস্টেবল। বার্ষিক ক্রীড়াদিবসে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কনস্টেবল পদে কর্মরত মিঠুন এক মাসের মধ্যে ১৩ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন। রমেন ৩০ দিনের মধ্যে ১২ কেজি ওজন কমিয়ে একেবারে ছিপছিপে এখন। দুই পুলিশকর্মীর এই কৃতিত্বের জন্য তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। অন্য পুলিশকর্মীরা যাতে ‘ফিট’ থাকতে দৌড় শুরু করে দেন, সে জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষে পুলিশ সুপার সমাজমাধ্যমে মিঠুন এবং রমেনের ছবি পোস্ট করেছেন।
মেদ ধরানোর বিজ্ঞাপনে যেমন ছবি দেওয়া হয়, ঠিক সে রকম ভাবে দুই কনস্টেবলের এক মাস আগের ছবি এবং এখনকার ছবি দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের নতুন উদ্যোগে ৫০ জন পুলিশকর্মীর মধ্যে মিঠুন ঘোষ এবং রমেন সবচেয়ে ভাল ফল করেছেন। তাই তাঁদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি অন্যদের ‘ফিট’ হওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় থাকাকালীন একবার উদ্যোগী হয়েছিলাম। যাঁরা স্থুল, তাঁদের ‘ফিট’ করে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হই। এ বার বনগাঁতেও তেমনটা করছি। ফল পাচ্ছি।’’ দীনেশ জানান, যে পুলিশকর্মীদের ওজন ঝরানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়, তাঁদের স্মার্টওয়াচ দেওয়া হয়। তাঁদের প্রোফাইল তৈরি করা হয়। ওই পুলিশকর্মীদের শারীরিক কোনও অসুবিধা রয়েছে কি না, সে সব পরীক্ষা করে ডায়েটেশিয়ান দিয়ে ‘ডায়েট চার্ট’ তৈরি হয়। আর তার পর রয়েছে খেলাধুলো এবং হাঁটাহাঁটি। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘দিনে অন্তত ১০ হাজার ‘স্টেপ’ (পদক্ষেপ) করার কথা বলা হয়েছিল। মনিটর করা হত। তাতে আমাদের দুই পুলিশকর্মী ঘাম ঝরিয়ে ১৩ এবং ১২ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। এ জন্য ডিআইজি সাহেব পুরস্কৃত করেছেন। বাহিনীতে নতুন উদ্যম দেখতে পাচ্ছি।’’