Bank Fire

সাতসকালে সিঙ্গুরের ব্যাঙ্ক থেকে কালো ধোঁয়া, আগুন, গ্রামবাসীদের তৎপরতায় অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা

দমকলে খবর দেওয়া হলেও তাদের আসার অপেক্ষা না করে গ্রামবাসীরাই ব্যাঙ্কের আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জানালা দিয়ে বালতি বালতি জল ঢালা হতে থাকে আগুনের উৎস লক্ষ্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৭
অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র কাঁধে ব্যাঙ্কে ঢুকছেন দমকলকর্মীরা।

অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র কাঁধে ব্যাঙ্কে ঢুকছেন দমকলকর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।

গ্রামবাসীদের তৎপরতায় বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল হুগলির একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাঙ্কের ইলেক্ট্রিক এবং ইন্টারনেটের লাইন, পুড়ে গিয়েছে কিছু নথিও। যদিও বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই সিঙ্গুরের বাসুবাটিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর যায় পুলিশেও। কিন্তু দমকলের পৌঁছনোর অপেক্ষা না করে গ্রামবাসীরা নিজেরাই জলের বালতি নিয়ে নেমে পড়েন। ব্যাঙ্কের জানালা দিয়ে বালতির জল ঢালতে থাকেন আগুনের উৎস লক্ষ্য করে। এতে আগুন ভয়াবহ আকার নিতে পারেনি। তত ক্ষণে পৌঁছে যায় দমকল। তারা কাঁধে করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী তারক কর্মকারের বাড়ির নীচ তলায় রয়েছে এই ব্যাঙ্কের শাখাটি। বাড়ির দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন তারক। তাঁর ছেলে অনির্বাণ বলেন, ‘‘সকালে ব্যাঙ্কের জানালা দিয়ে কালো ধোঁয়া দেখে পাড়া প্রতিবেশীদের ডাকি। ব্যাঙ্কের লোককেও খবর দিই। প্রায় পঞ্চাশজন গ্রামবাসী যে যা হাতের কাছে পেয়েছেন, তাই দিয়ে আগুন নিভিয়েছেন।’’ দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় ব্যাঙ্কের কাছে যেতে পারেনি। দমকলকর্মীরা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাঙ্কে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ইন্টারনেট চালু ছিল। তা থেকে শর্ট সার্কিট হতে পারে। বড় অগ্নিকাণ্ড এড়ানো গেলেও ব্যাঙ্কের কিছু নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement