—প্রতীকী ছবি।
পকসো মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পাণ্ডুয়া থানার অন্তর্গত পায়রা মসজিদতলা এলাকায় ঘটনা। ওই দিন বিকেল ৪টে নাগাদ এক নাবালিকা টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। অভিযোগ ছিল, প্রতিবেশী সামিন মণ্ডল তার পিছু নেন। মেয়েটিকে একা পেয়ে বৈচি স্টেশন রোড এলাকায় নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই পাণ্ডুয়া থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার হন অভিযু্ক্ত। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি।
ঘটনার তদন্তের পর ২০১৮ সালের গত ৮ ডিসেম্বর পকসো ধারায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এর পর ওই মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অভিযুক্ত সামিনের আইনজীবী ছিলেন প্রতিম সিংহ রায়। সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে শুক্রবার মামলার রায় দেন চুঁচুড়া পকসো আদালতের বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য। তিনি সামিনকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেন।
সামিমের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণই দিতে পারেনি পুলিশ। মিথ্যা মমলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তাই বিচারক বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ মুক্তি পেয়ে সামিম খুশি। তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ ছিল আমি বলেছিলাম। তা প্রমাণ হল আদালতের রায়ে।’’