পটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডির নেতৃত্বাধীন সেই দল দেখা করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশের বাধা মুখে পড়েছিল দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দল। দাবি, কলকাতা পুলিশ তাদের আটকও করেছিল। রবিবার রাতে পটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডির নেতৃত্বাধীন সেই দল গেল রাজভবনে। দেখা করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। বোস-সাক্ষাতে সেই দল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাল।
শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে আসে ওই তথ্যসন্ধানী দল। ছ’সদস্যের সেই দল রবিবার সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয়। স্থির ছিল, ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাবে তারা। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। বাধার মুখে পড়ে তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যেরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের তরফে তাদের বলা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেখানে যা পরিস্থিতি, তাতে যেতে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু যুক্তি মানতে নারাজ ছিলেন তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যেরা। এর পরেই তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্যসন্ধানী দলের দাবি, প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ বেআইনি ভাবে তাদের আটকেছে।
এর পর রবিবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে দলটি। সাক্ষাতের পর দলের সদস্য ভাবনা বজাজ এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জানান, তাঁরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা ঘোষণা করেন, তার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। রাজভবন সূত্রে খবর, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।