জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে সোমবার রায় দেবে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় হিন্দুরা পুজো এবং প্রার্থনা করতে পারবেন কি না, সোমবার সে ব্যাপারে রায় দেবে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে গত ৩১ জানুয়ারি বারাণসীর জেলা আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ইলাহাবাদ হাই কোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলারই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
গত ৩১ জানুয়ারি জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাসের তহখানায় হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত। বিচারক ওই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে মসজিদের দক্ষিণ দিকের ভূগর্ভস্থ পাতাল ঘরে পুজোর আয়োজন করতে হবে। এ ব্যাপারে মসজিদের পাশেই থাকা কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছিল আদালত।
সেই নির্দেশানুসারে জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাসের তহখানায় আবার সমস্ত উপচারে পুজো করা হয়। যা নিয়ে আপত্তি তোলেন মসজিদের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। তারা বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট সেই আবেদন নাকচ করে। মসজিদ কমিটিকে তাদের আবেদন সংশোধন করার জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়। বারাণসী জেলা আদালতের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভেবে দেখতে বলে। এর পরেই বারাণসী আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই কমিটি। সোমবার যার শুনানি রয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে।
প্রসঙ্গত, তহখানা হল মসজিদের নীচের ভূগর্ভস্থ ঘর বা পাতালঘর। জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে এমন চারটি তহখানা রয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ দিকের তহখানাটি এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। তাই তহখানাটির নাম ‘ব্যাস কি তহখানা’। বারাণসীর আদালত হিন্দুপক্ষকে এই ‘ব্যাস কি তহখানা’তেই পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, হিন্দু পক্ষের দাবি ছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদ যেখানে রয়েছে, সেখানে এক কালে একটি মন্দির ছিল। এখন যেখানে মসজিদের জলাধার, সেখানকার ফোয়ারাটি ছিল আসলে শিবলিঙ্গ।