(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল ছবি।
ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই বাংলার ছ’টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দুই দফায় ঝাড়খণ্ডে এবং এক দফায় ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ মহারাষ্ট্রে। আর প্রথম দিনেই ভোটগ্রহণ হবে বাংলার ছয় আসনে। এই ছয় আসনের বিধায়কেরা গত লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে। হাড়োয়া আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে তিনি সাংসদ হন। হাড়োয়াতে উপনির্বাচন হলেও বসিরহাট লোকসভা আসনে এই দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।
যে ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে বিজেপি ২০২১ সালে জিতেছিল একটিতে। দলের আরও কয়েক জন বিধায়ক লোকসভায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয় পান একমাত্র মনোজ টিগ্গা। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ সাংসদ হওয়ায় সেই আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়াও কোচবিহারে সিতাই আসন ছেড়ে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন, মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া আসন এখন শূন্য রয়েছে যথাক্রমে জুন মালিয়া এবং অরূপ চক্রবর্তী সাংসদ হওয়ায়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা, সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া আসনে ১৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। সর্বত্রই গণনা ২৩ নভেম্বর।
শুধু বাংলাই নয়, একই সঙ্গে দেশের ১৫ রাজ্যের ৪৮টি বিধানসভা এবং দু’টি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। লোকসভা আসন দু’টি মহারাষ্ট্রের নান্দেড় এবং কেরলের ওয়েনাড়। নান্দেড় আসনে কংগ্রেস সাংসদ বসন্তরাও বলওয়ান্তরাও চবন গত অগস্ট মাসে প্রয়াত হয়েছেন। দু’টি আসনে জয় পাওয়া কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী রেখে ওয়েনাড় ছেড়ে দেন। সে কারণেই ওয়েনাড়ে হবে উপনির্বাচন।
লোকসভা নির্বাচনে অনেক রাজ্যেই বিধায়কেরা জিতে সাংসদ হয়েছেন। সে কারণে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি ন’টি আসনে উপনির্বাচন হবে। এর পরেই রাজস্থানের সাতটি আসন। ছ’টি আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে বাংলা। রাজ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ অক্টোবর। অর্থাৎ, প্রার্থী ঘোষণার জন্য খুব বেশি সময় পাবে না রাজনৈতিক দলগুলি।