Ration Distribution Case

‘ডাকু’ শঙ্করের অফিস থেকে উদ্ধার প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রা, উৎসের সন্ধানে ইডি

গত ৫ জানুয়ারি সকালে বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:৫৬
shankar adhya

শঙ্কর আঢ্য। —ফাইল চিত্র।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর অফিস থেকে প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করল ইডি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। মধ্য কলকাতার মারকুইজ় স্ট্রিটে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার একটি অফিস থেকে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূ্ত্রে। ওই অফিসটি শঙ্করের। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ওই অফিসে রাখা ছিল তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

Advertisement

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তে শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। এর মধ্যে ছিল শঙ্করের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংহের অফিস। এ ছাড়াও চৌরঙ্গি এলাকায় শঙ্করের একটি ফরেক্স সংস্থার (বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা)অফিস এবং মারকুইজ় স্ট্রিটে অন্য একটি ফরেক্স সংস্থার অফিসে হানা দেয় ইডি। মারকুইজ় স্ট্রিটের অফিস থেকেই উদ্ধার হয়েছে ওই বৈদেশিক মুদ্রা।

গত ৫ জানুয়ারি সকালে বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তাঁকে পেশ করে ইডি দাবি করেছিল, শঙ্করের ৯০টির বেশি ফরেক্স সংস্থা রয়েছে। যদিও সব ক’টি তাঁর নামে নয়। রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং পরিচিতদের নামে। এই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর বিদেশে লেনদেন করেছেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। ইডি দাবি করেছিল, শঙ্কর রেশন মামলায় ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর ঘনিষ্ঠ। হাসপাতালে মন্ত্রীর সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে শঙ্কর যোগাযোগ রেখেছিলেন বলেও ইডি দাবি করে। সেই চিঠি তাদের হাতে এসেছে। তাতে টাকার হিসাব লেখা ছিল। হাতের লেখা পরীক্ষার বন্দোবস্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও গ্রেফতার হওয়ার পর শঙ্কর সংবাদমাধ্যমের সামনে বার বার দাবি করেছেন, তিনি জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রীর যোগই নেই।

আরও পড়ুন
Advertisement