চাকরি সংক্রান্ত নথি, অ্য়াডমিট কার্ড মিলেছে প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে। ফাইল ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রবিবার প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন অয়ন। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে চাকরির পরীক্ষার একাধিক উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের প্রতিলিপি পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ডও পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের কাছ থেকে যে সমস্ত ওএমআর শিটের প্রতিলিপি মিলেছে, সেগুলি পুরসভা সংক্রান্ত পরীক্ষার। এ ছাড়া, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড অয়নের বাড়িতে খুঁজে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এর আগে একাধিক সন্দেহভাজনের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষার ওএমআর শিট উদ্ধারও করা হয়েছে। কিন্তু ২০১২ সালের পরীক্ষা সংক্রান্ত নথি এর আগে পাওয়া গিয়েছিল একমাত্র শান্তনুর কাছ থেকেই। তাঁর কাছ থেকে ২০১২ সালের পরীক্ষার কয়েকটি অ্যাডমিট কার্ড পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাই এর আলাদা তাৎপর্য থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অয়নের ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে ইডি কোটি কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে। দেখা গিয়েছে, লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটির কাছাকাছি। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই বিপুল লেনদেনের সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবারই বলাগড়ের একটি রিসর্টে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। একই সঙ্গে ইডির একটি দল পৌঁছে যায় অয়নের বাড়িতেও। অয়নকে জেরার পাশাপাশি তাঁর মা, বাবাকেও জেরা করে ইডি। পরে রবিবার অয়নকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির তরফে জানানো হয়, অয়নের বাড়ি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা, উত্তরপত্রের প্রতিলিপি এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি কর্তাব্যক্তি না হয়েও এক জন প্রোমোটারের অফিসে এই নথি এল কী ভাবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই অয়নকে গ্রেফতার করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।