Sandeshkhali Incident

আদালতের দেওয়া সময় পার, শাহজাহানকে এখনও হাতে পেল না সিবিআই, আবার হাই কোর্টে ইডি!

হাই কোর্ট সময় দিয়েছিল বিকেল সওয়া ৪টে পর্যন্ত। তার মধ্যে শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও ভবানী ভবন থেকে শাহজাহানকে নিয়ে বেরোয়নি সিবিআই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫২

—ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্ট সময় দিয়েছিল বিকেল সওয়া ৪টে পর্যন্ত। তার মধ্যেই শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও ভবানী ভবন থেকে শাহজাহানকে নিয়ে বেরোয়নি সিবিআই। আর তাই আবারও রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গেল ইডি।

Advertisement

বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের আগে সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে ভবানী ভবন পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তার মধ্যে সাড়ে ৪টে পার হয়ে যায়। কিন্তু শাহজাহানকে নিয়ে আর ভবানী ভবন থেকে বেরোতে দেখা যায়নি সিবিআইকে। আদালতের দেওয়া ওই সময়সীমা পেরিয়ে যেতে আবার আদালতের পথে গিয়েছে ইডি। তার মধ্যে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিজ়াম প্যালেস থেকে ভবানী ভবন পাঠিয়েছে সিবিআই।

central force

নিজ়াম প্যালেস থেকে ভবানী ভবনের পথে জওয়ানরা। —নিজস্ব চিত্র।

বস্তুত, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর পরই ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ পর শাহজাহানকে না-নিয়েই ফিরতে হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, সিআইডির গোয়েন্দারা জানান, হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। তাই এই মামলাটি বিচারাধীন। যদিও মঙ্গলবার প্রথমে রাজ্যের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয় আদালতে। তার পর বুধবারও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির কাছে এ নিয়ে আবেদন জানাতে পারে রাজ্য। অন্য দিকে, রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। ঘটনাক্রমে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিকেলেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। তার পরই ভবানী ভবনে পৌঁছে যায় সিবিআই।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। গুরুতর আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তিন ইডি আধিকারিককে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে ফোন, ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ওই ঘটনার পর ন্যাজাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। পরে ইডিও একটি অভিযোগ জানায় ওই থানায়। অন্য দিকে, শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকার ইডির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। এর মধ্যে ইডির দায়ের করা মামলা এবং পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দায়ের করা মামলার মধ্যে পরস্পরবিরোধিতা পায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশ যৌথ ভাবে সিট গঠন করে এই মামলার তদন্ত করবে। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ইডি। রাজ্যও ওই নির্দেশের বিরোধিতা করে মামলা করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিট গঠন এবং তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ঘটনাক্রমে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তার পর থেকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া ওই নেতার ঠিকানা হয় ভবানী ভবন।

আরও পড়ুন
Advertisement