পুজো ঘিরে বিতর্কে চন্দ্রচূড় গোস্বামী। — নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্কে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজো ঘিরে প্রথম বছরেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন নিজেকে ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বলে দাবি করা চন্দ্রচূড় গোস্বামী। রাজনীতির জগতে অবশ্য ‘প্রথম’ নন চন্দ্রচূড়। অনেক আগেই সেখানে পা ফেলেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানের ওই গবেষক।
পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর চন্দ্রচূড়। এখন পিএইচডি করছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লেকচারার’ হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি, গানেও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে চন্দ্রচূড়ের। এ সবের মধ্যেই দীর্ঘ দিন আগে থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল চন্দ্রচূড়ের। এখন তিনি সামলে চলেছেন সংগঠনের একাধিক দায়িত্ব। গেরুয়া শিবিরের ‘স্বস্তিকা ডিজিটাল টিভি’-র প্রধান সম্পাদকের পদেও রয়েছেন তিনি।
আছেন খেলাধুলাতেও। বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনে নথিভুক্ত খেলোয়াড় তিনি।
২০২১ সালে ভোটের ময়দানেও নেমেছিলেন চন্দ্রচূড়। ওই বছর ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে মাত্র ৮১টি ভোট পেয়েই সেই দৌড় থামাতে হয় তাঁকে। সেই চন্দ্রচূড়ের নাম এ বার জড়িয়েছে দুর্গাপুজোয় অসুর মূর্তি নিয়ে বিতর্কে। হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজোর অসুর মূর্তি মহাত্মা গান্ধীর অনুকরণে তৈরি বলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার জেরে বদলেও দেওয়া হয় অসুরের মূর্তি। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে চন্দ্রচূড় এবং তাঁর সংগঠনের বিরুদ্ধে।পুজো-বিতর্কের উত্তরে চন্দ্রচূড় বলছেন, ‘‘আমি গ্রেফতার হলে হব। সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না।’’