কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির বিজ্ঞান শাখার স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের কলেজের বাইরে কমন সেন্টারে থিয়োরেটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর বিরোধিতা করে নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদ দাবি করেছে, যে সিদ্ধান্তই হোক, অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে তা নেওয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অতীতে কলেজগুলিতে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা ব্যাপক টোকাটুকি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত।
রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস জানান, শুধুই কলেজের স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা নন। যে সব বিষয়ে পরীক্ষার্থী বেশি নয়, সেই ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়ছেন, তাঁরা কলেজের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনও কমন সেন্টারে পরীক্ষা দেবেন। বেশি পরীক্ষার্থী হলে কলেজের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ক্যাম্পাসে অথবা অন্য কলেজে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘সিন্ডিকেটের বৈঠকে বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ হয়েছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়াকে প্রশ্নমুক্ত রাখতেই এই পদক্ষেপ।’’ বুধবার সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে বিষয়টি নিয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেন উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি ওমপ্রকাশ মিশ্র।
নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবি বলেন, ‘‘সিন্ডিকেট আমাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধ্যক্ষ হিসাবে আমরা স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সময়ে প্রতারণার মতো কার্যকলাপকে কখনওই উৎসাহিত করছি না। সাধারণ পরীক্ষা কেন্দ্র এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার জন্য নজরদার শিক্ষকদের বিষয়ে আমাদের অনেক কিছু বলার আছে।’’ এ নিয়ে এই সংগঠন বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক ডেকেছে।