মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আধার নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্য সংঘাত জারি রইল সোমবারেও। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের তরফে বাংলার মানুষের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পিছনে বিজেপির চক্রান্তের কথা বলা হয়েছে। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছিলেন সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করবে নবান্ন। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁর ঘোষণা, মঙ্গলবার থেকেই রাজ্য একটি পোর্টাল চালু করছে। সেই পোর্টালে গিয়ে যাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁদের আধার বাতিল হয়েছে তাঁদের আলাদা কার্ড দেবে রাজ্য। ব্যাঙ্ক বা অন্য কাজে কারও সমস্যা হবে না।’’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই প্রথম আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার অভিযোগ মেলার পরে রবিবার সিউড়ির জনসভায় উপস্থিত মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে এই সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর মঞ্চ হিসেবে একটি পোর্টাল তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। সেই পোর্টালই মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানালেন মমতা।
আধার সমস্যা নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিল বিজেপি। সোমবার সকালেই দিল্লিতে এ নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। বাংলার সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু এই সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই সবটা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে সমাধানের পথও বলে দেন তিনি। তবে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি পরিকল্পনা করেই আধার নিষ্ক্রিয় করেছে। গরিব মতুয়াদের ক্ষেত্রে বেশি হয়েছে। আসলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের লক্ষ্যেই এ সব করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে কোনও ভাবেই তা হতে দেব না।’’
একই সঙ্গে মমতা অভিযোগ করেন, রাজ্য বা জেলা প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই গোটাটা করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।