প্রতীকী ছবি
জেলাশাসকদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার বিষয়টি নিয়ে মূলত আলোচানা হয়। পাশাপাশি উঠে এসেছে দুয়ারে সরকার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো কর্মসূচির বিষয়। জেলাশাসকদের এই সব বিষয়ে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়গার কোভিড সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসন চিন্তিত। বিশেষ করে কলকাতায় হঠাৎ করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে। সে কারণে প্রশাসনের তরফে আরও বেশি করে টিকাকরণ শিবির তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জেলাগুলিতে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির কথাও বলা হয়েছে। সোমবার থেকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা আরও বেশি করে উঠে এসেছে আলোচনায়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই বৈঠকে মুখ্যসচিবের নির্দেশ, সব দিক থেকে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য যেন তৈরি থাকে প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুজোর পর স্কুল খুলতে পারে। সেই লক্ষ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণে জোর দিতেও বলা হয়েছে। শুধু শিক্ষক নন, তাঁর পরিবারের সকলকেও টিকা দেওয়ার বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। পাশাপাশি, সামগ্রিক ভাবে টিকাকরণের গতি বাড়াতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, মজুত টিকা যেন তিন দিনের মধ্যে ব্যবহার করা হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকে টিকাকরণ ছাড়াও একাধিক সরকারি কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুয়ারে সরকার নিয়ে মুখ্যসচিবের নির্দেশ, যে জেলায় শিবিরে ভিড় বেশি হচ্ছে, সেখানে আরও বেশি করে শিবির করতে হবে।
এ ছাড়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়েও মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনের কাছে খবর আছে, কোনও কোনও জেলায় ক্রেডিট কার্ডের কাজ ঠিক করে হচ্ছে না। আবেদনপত্র সঠিক ভাবে পীরণ করাতে হবে। দরকারে এগিয়ে আসতে স্থানীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোথাও যেন কোনও জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক ব্যক্তির হস্তক্ষেপকে গ্রাহ্য না করা হয়। প্রয়োজনে আবেদনপত্র পূরণের কাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা কন্যাশ্রী মেয়েদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।