প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে কমিশনকে সমস্ত বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী ২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালত অবমাননা করেছে বলে পৃথক ভাবে পিটিশন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। পঞ্চায়েতের হিংসা ঠেকাতে গত ১৩ এবং ১৫ জুন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, ইচ্ছাকৃত ভাবে তা মানা হয়নি বলেন আবেদনকারীরা অভিযোগ জানান।
এই মামলার শুনানিতে শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের প্রায় ২০,৫৮৫ আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-১ ব্লকে মনোনয়ন প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। ওই এলাকায় এক ব্যক্তির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি জানান, সেখানে আড়াইশোর বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল। ফলে পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারার সুযোগ না-মেলায় তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়েছে বলে ওই ব্যক্তির অভিযোগ।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী শুক্রবার মামলার শুনানিতে জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে, তা দিতে কোনও অসুবিধা নেই। ২০১৩ সালের মডেলে (পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত ভোট) এ বারও ভোট হলে ৮২ হাজার বাহিনী দিতে সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।