কলকাতা হাই কোর্ট (বাঁ দিকে), মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের জামিনের মামলায় মুখ্যসচিবের থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে আদালতে দাবি করল সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য মুখ্যসচিবের অনুমতি প্রয়োজন ছিল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু রাজ্য অনুমোদন না দিলে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। কেন রাজ্য সরকার এত দিন ধরে ওই অনুমোদন দানের প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাই কোর্ট। গত ২২ মার্চ অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে তিনি কী ভাবছেন তা মুখ্যসচিবকে জানাতে বলেছিল হাই কোর্ট। ২৬ মার্চ ওই নির্দেশনামা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অশোককুমার সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ এবং শান্তিপ্রসাদ সিন্হা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
বুধবার শুনানি চলাকালীন এ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতিরা। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যের সরকারি আইনজীবীকে নোটিস দেওয়ার কথা। বুধবার দুপুর ২টোয় তাঁকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘কেন মুখ্যসচিব উত্তর দেননি? আদালত আশা করেছিল, মুখ্যসচিব রিপোর্ট দেবেন। তিনি কী করেছেন, বা কী করেননি তা নিয়ে তো জানাতে পারতেন। এটা খুবই বেদনাদায়ক! কত দিনের মধ্যে অনুমতি দিতে পারবেন তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালত মুখ্যসচিবকে নির্দেশে দিয়েছে তার পরেও...।’’ বিচারপতি বাগচী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এর পরেও নির্দেশ মানা না হলে মুখ্যসচিবকে কেন আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেবে না আদালত?’’