CV Ananda Bose-Bratya Basu

অভিজিতের মতো নামুন রাজনীতিতে! অপসারণের সুপারিশ নিয়ে বোসকে বিঁধল ‘ব্রাত্যের সংগঠন’

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই একে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষমন্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৯
(বাঁ দিকে) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সিভি আনন্দ বোস এবং ব্রাত্য বসু।

(বাঁ দিকে) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সিভি আনন্দ বোস এবং ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই একে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষমন্ত্রী। এ বার আসরে নামল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’ও। ব্রাত্য এই সংগঠনের সভাপতি। বোসের উদ্দেশে ওয়েবকুপার কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক পদ ছেড়ে রাজনীতিতে নামুন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্যপাল শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন। গত ৩০ মার্চ মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র সভা ডাকা হয়েছিল, যার সভাপতিত্ব করেছিলেন ব্রাত্য। ওই সভাতেই নির্বাচনী বিধি ভাঙা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তার জেরেই ব্রাত্যকে পদ থেকে সরানো এবং তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করেছেন তিনি। ওয়েবকুপা প্রশ্ন তুলেছে, নির্বাচনবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখার দায় নির্বাচন কমিশন না কি রাজ্যপালের? সংগঠনের বক্তব্য, রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন। প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘মেঘনাদের মতো মেঘের আড়াল থেকে বাণ নিক্ষেপ করা থেকে তিনি (রাজ্যপাল) বিরত থাকুন। না হলে বাংলার আপামর শিক্ষক সমাজ এই ঘৃণ্য রাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’’ রাজ্যপালকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছে ওয়েবকুপা। জানিয়েছে, তাঁকে যাতে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তার আবেদনও করা হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

বোসের সুপারিশ নিয়ে ব্রাত্যও তোপ দেগেছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আমি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই হাস্যকর। আমি কোনও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে থাকলে তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে যে কোনও রাজনৈতিক দলের। কিন্তু রাজ্যপাল এমন একটি অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন। দ্বিতীয়ত, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল শুধু নিজের আসল রঙই দেখালেন না, নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করলেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement