Sandeshkhali Incident

শাহজাহান নিরাপদে পুলিশ হেফাজতেই, উডবার্নে তৈরি শয্যাও: শুভেন্দু।। পাল্টা ছবি-খোঁচা দিলেন কুণাল

গত ৫ জানুয়ারি ইডির অভিযানের পর থেকে ‘অধরা’ সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকেই পুলিশের ‘নিরাপদ’ হেফাজতে রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৩
(বাঁ দিক থেকে) শুভেন্দু অধিকারী, শাহজাহান শেখ এবং কুণাল ঘোষ।

(বাঁ দিক থেকে) শুভেন্দু অধিকারী, শাহজাহান শেখ এবং কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

শাসকদলের তরফে সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হবেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ইতিমধ্যে পুলিশের ‘নিরাপদ হেফাজতে’ রয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকেই পুলিশি হেফাজতে আছেন শাহজাহান। তাঁর সঙ্গে ‘চুক্তি’ হয়ে গিয়েছে পুলিশের। এর পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘এতই যখন জ্ঞান, তা হলে শুভেন্দুই বলে দিন ঠিক কোথায় রাখা হয়েছে শাহজাহানকে।’’

Advertisement

বুধবার শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শাহজাহানকে ধরেছে পুলিশ। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ‘চুক্তি’ করেছেন। কী সেই চুক্তি? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘চুক্তি হয়েছে পুলিশ এবং বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর (শাহজাহানের) যথাযথ যত্ন নেওয়া হবে। কারাগারে থাকাকালীন তাঁকে বিলাসবহুল হোটেলের সুবিধা দেওয়া হবে এবং একটি মোবাইল ফোনও হাতে পাবেন।’’ শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘এমনকি, উডবার্ন ওয়ার্ডের (এসএসকেএম হাসপাতালে) একটি শয্যা তাঁর জন্য প্রস্তুত এবং খালি রাখা হবে। যদি তিনি কিছু সময় সেখানে কাটাতে চান।’’

শুভেন্দুর এই অভিযোগ এবং দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে কুণাল বলেন, ‘‘ওর সঙ্গেই তো ছবি আছে। যত দিন সিপিএমে ছিল, সিপিএমে ছিল। পরে শুভেন্দুরাই তো ওকে (তৃণমূলে) এনেছেন। শুভেন্দুদের সঙ্গে দহরম-মহরম। শুভেন্দু এখন বলে দিক ঠিক কোথায় রয়েছে।’’

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শাহজাহানের সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে যান ইডির পাঁচ আধিকারিক। তাঁরা শাহজাহানের দেখা পাননি। পাল্টা মার খেয়ে ফিরতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার ‘অনুগামীদের’ হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। ঘটনাক্রমে শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। তাঁর দুই রাজনৈতিক সঙ্গী উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাহজাহান এবং ওই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতনের অভিযোগে ফুঁসছে সন্দেশখালি। কিন্তু শাহজাহানের দেখা মেলেনি। এর মধ্যে সোমবার এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর কুণাল এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আদালতের আইনি জটেই বিষয়টি আটকে ছিল। তার সুযোগে রাজনীতি করছিল বিরোধীরা। আজ হাই কোর্ট সেই জট খুলে পুলিশকে পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়ায় ধন্যবাদ। সাত দিনের মধ্যে শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।’’

অন্য দিকে, বুধবারই কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement