কুয়াশায় ঢাকা সাগর। নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল শুক্রবার সন্ধ্যায়। উদ্বোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট।
ইতিমধ্যেই মেলায় ভিড় করতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। ঘন কুয়াশা হলে ভেসেল ও গাড়ি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এ বছর মেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মেলা উপলক্ষে ২২৫০টি সরকারি ও ৫০০ বেসরকারি বাস চালু থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জলপথে ৬টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল ও ১০০টি লঞ্চ চলবে। ১২ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন হচ্ছেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র চালু হয়েছে। মোতায়েন থাকছে তাদের ২৫টি ইঞ্জিন। কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১১৫০টি সিসি ক্যামেরা। ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে ও স্পিড বোটেও নজরদারি চলবে।
এ বারও ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি সমুদ্র-আরতির ব্যবস্থা হয়েছে। মেলায় আগত অস্থায়ী দোকানগুলির খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকছে। মেলার মেগা কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। পুণ্যার্থীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমাও চালু করেছে প্রশাসন। মেলা প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে সরকারি ভাবে মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। পুণ্যার্থীরা এ দিন থেকে সমস্ত রকমের সুবিধা পাবেন। সরকারি ভাবে যা যা ব্যবস্থা, তা নেওয়া হয়েছে।’’