Celebrity Controversy

সিধুকে নচিকেতা-ভক্তের অপমান! বাদানুবাদের প্রেক্ষিতে কি তরজা এ বার দুই সঙ্গীতশিল্পীর?

খ্যাতনামীদের মাথাব্যথা নেই। যত সমস্যা অনুরাগীদের। তাঁরাই সমাজমাধ্যমে খাপ পঞ্চায়েত বসাচ্ছেন। কটু ভাষায় হুমকিও দিচ্ছেন। এটাই ‘ট্রেন্ড’?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৮
এ বার কি তরজায় জড়াবেন সিধু, নচিকেতা?

এ বার কি তরজায় জড়াবেন সিধু, নচিকেতা? ছবি: ফেসবুক।

ঘটনা ১: নতুন বছরের প্রথম দিন সমাজমাধ্যমে ছবিমুক্তি নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, চলতি বছরে তিনটি ছবি উপহার দেবেন। গরমের ছুটি, পুজো আর বড়দিনে মুক্তি পাবে সেগুলি। প্রতি বছরের মতো পুজো এবং বড়দিনে দেবের ছবিও মুক্তি পাবে। তাই নিয়ে উভয় প্রযোজক-অভিনেতার কোনও মাথাব্যথা নেই। যত না দেবের অনুরাগীদের। তাঁরা শিবপ্রসাদের উপরে খড়্গহস্ত। দেবের সঙ্গে একই দিনে তাঁকে ছবিমুক্তি না দেওয়ার ফতোয়া জারি করেছেন। কথা না শুনলে শিবপ্রসাদকে ‘শিক্ষা দেওয়া’র হুমকিও দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। শিবপ্রসাদের স্ত্রী জ়িনিয়া সেনের বিকৃত, অর্ধনগ্ন ছবি ছড়িয়েছেন। যার জেরে তিতিবিরক্ত খ্যাতনামী দম্পতি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছেন।

Advertisement

ঘটনা ২: গায়ক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় তথা সিধু দিন দুই আগে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর একাধিক গান অন্য গানের থেকে অনুপ্রাণিত।” এই তালিকায় তিনি নচিকেতার বহুল প্রচলিত ‘নীলাঞ্জনা’কেও ফেলেছেন। গায়ক শুধু বক্তব্যই রাখেননি। যে গানগুলি থেকে অনুপ্রাণিত ‘জীবনমুখী’ গানের গায়ক, সেই সব গানের পাশাপাশি গায়কের গাওয়া গানও তিনি গেয়ে শুনিয়েছেন। ধরিয়ে দিয়েছেন কোথায় মিল, কেন তিনি এই ধরনের বক্তব্য রাখলেন। সেই নিয়ে কথার পৃষ্ঠে কথা। যদিও যাঁকে নিয়ে এত বক্তব্য, সেই নচিকেতা কিন্তু সরাসরি কিছুই বলেননি সিধুকে। কিন্তু বলছেন তাঁর অনুরাগীরা। ঠিক দেবের অনুরাগীরা যে ভঙ্গিতে সমাজমাধ্যমে কুকথা বলেছেন, সেই ভঙ্গিতেই এ বার সমাজমাধ্যমে খোলাখুলি আক্রমণের শিকার সিধু।

সমাজমাধ্যমের রমরমা যত বেড়েছে, ততই এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা বেড়ে চলেছে। সমীক্ষা বলছে, খ্যাতনামীরাই নাকি এই দুর্ভোগের শিকার। তাঁদের যেমন নেটাগরিকেরা কটাক্ষে বিঁধতে ছাড়েন না, একই ভাবে দুই খ্যাতনামীর তরজায় ধুনো দেন অনুরাগীরাই। এতে সমাজমাধ্যম সরগরম হয়। দুই পক্ষ নেতিবাচক প্রচারও পায়। একই সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় কি? এমনও দেখা গিয়েছে, খ্যাতনামীদের মাথাব্যথা নেই। যত সমস্যা অনুরাগীদের। তাঁরাই পুরো বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে দিচ্ছেন। কটু ভাষায় হুমকিও দিচ্ছেন। তা হলে কি এটাই ‘ট্রেন্ড’?

সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল নচিকেতা এবং সিধু, উভয়ের সঙ্গেই। সিধু কথার শুরুতেই বলেছেন, “কাউকে অপমান করব বলে করিনি। নচিদাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি। ওঁকে কেনই বা এই ধরনের কথা বলতে যাব!” তাঁর যুক্তি, প্রসঙ্গ সূত্রে অন্যান্য শিল্পীদের গান নিয়েও কথা উঠেছিল। সেই সময় তিনি এই বক্তব্য রাখেন। জানান, বরাবর ক্যুইজ করে এসেছেন। এই ধরনের তথ্য তাঁর কাছে অনেক রয়েছে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে উদাহরণ-সহ কথা বলতে তাঁর অসুবিধে হয়নি।

নচিকেতা কি সিধুর উপরে রাগ করেছেন? তাঁর গান নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য রাখার কারণে...? বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই নচিকেতারও। বলেছেন, “কেন রাগ করতে যাব? সিধুর যা মনে হয়েছে, সেটাই বলেছে ও।” সিধুকে নচিকেতা এই প্রেক্ষিতে কিছু বলবেন কি? তাঁর দাবি, তাঁর কিচ্ছু বলার নেই। কিন্তু ঘটনার পর থেকে নচিকেতার ভক্তেরা যে সিধুকে প্রায় ফি-দিন কটূক্তিতে বিঁধছেন! নচিকেতার কথায়, “দেখুন, আমার অনেক ভক্ত। অনেকেই নিজেকে আমার অনুরাগী বলে দাবি করেন। তাঁরা কে, কী করছেন বা বলছেন— এত কি দেখা সম্ভব? কাকেই বা বলব? কে বলেছেন তা-ই জানি না! আমার হাতে এত সময় নেই।”

তা হলে কি এ ভাবেই শিল্পীদের বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্যকে ঢাল বানিয়ে তরজা এগিয়ে নিয়ে যাবেন তথাকথিত অনুরাগীরা? এ বার সরব সিধু। তাঁর জবাব, “ওঁরা অন্ধবিশ্বাসী। কিছু না বুঝে পাগলের মতো আচরণ করেন। পাগলদের পাত্তা দিই না।” নচিকেতার দাবি, “দয়া করে শিল্পী হিসেবে আমাদের এক পংক্তিতে বসাবেন না। আমি এতটাও মর্যাদা দিতে রাজি নই।”

Advertisement
আরও পড়ুন