CISF

‘চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন’, কুলটিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল সিআইএসএফের দুই কনস্টেবলকে!

গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে চুরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। চোর সন্দেহে দুই যুবককে আটকে সিআইএসএফের জওয়ানেরা বেধড়ক মারধর করে কারখানার বাইরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:১১
Arrest

— প্রতীকী চিত্র।

কারখানায় চুরি করতে গিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় সিআইএসএফের দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বি নরসিংহ রেড্ডি এবং কে জয়কৃষ্ণ। এঁদের মধ্যে নরসিংহ সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কুলটির সেল গ্রোথ কারখানায় গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে চুরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। চোর সন্দেহে দুই যুবককে আটকে সিআইএসএফের জওয়ানেরা বেধড়ক মারধর করে কারখানার বাইরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পর দিন সকালে এলসি মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই কারখানার সামনে দুই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে ভিকি রবিদাস নামে এক যুবক মারা যান। তাঁর সঙ্গী মনোজ শাহাবুদ্দিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়েরা। পরে তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই রাজনৈতিক দলই সিআইএসএফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তি, ঠেলাঠেলি শুরু হয়। সিআইএসএফ জওয়ানেরা লাঠি দিয়ে তাঁদেরকে ঠেলে বাইরে সরিয়ে দেন।

ওই ঘটনায় কুলটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই তদন্তের পর সিআইএসএফ হেড কনস্টেবল নরসিংহ এবং কনস্টেবল জয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররায়। তিনি বলেন, ‘‘ধৃতদের নিজের হেফাজতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement