জেসন কামিংস। —ফাইল চিত্র।
ডার্বি অতীত। যদিও গুয়াহাটির সেই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে এখনও সরগরম কলকাতা ময়দান। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে নামার আগে রেফারিং বিতর্কে ইস্টবেঙ্গলকে জবাব দিলেন মোহনবাগানের জেসন কামিংস। তাঁর বক্তব্য, রেফারির সাহায্যে নয় খেলেই জিতছেন তাঁরা।
বড় ম্যাচে রেফারির একাধিক সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় ফুঁসছে লাল-হলুদ শিবির। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবিচারের বিহিতের আশায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তা নিয়ে বুধবার কামিংস বলেছেন, ‘‘মানুষ মাত্রই ভুল করে। কখনও এই ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। কখনও অন্য দলের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এমন হয়েই থাকে। ফলে রেফারির সাহায্যে আমরা জিতছি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা নিজেরা খেলে জিতছি। লড়াই করে জিতছি। ভার (ভিএআর) থাকলে অবশ্যই ভাল হল। কিন্তু যেটা নেই, সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই।’’ ইস্টবেঙ্গলের আনা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বাগানের অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে ইস্টবেঙ্গল জানায়, তাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে। ক্লাবের অভিযোগ, গত ১০-১২ বছর ধরে তাদের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হচ্ছে। রেফারিংয়ের মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ইচ্ছা করে দলের গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার শৌভিককে প্রথমে অকারণে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। সেটি না হলে শৌভিক লাল কার্ড দেখতেন না। ইস্টবেঙ্গলের দাবি, তাদের দুই মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো ও মাদিহ তালাল ডার্বিতে ছিলেন না। ফলে শৌভিকের উপর ভরসা ছিল। সেই কারণেই শৌভিককে নিশানা করা হয়েছে।
অন্য দিকে, বক্সে আপুইয়ার হাতে বল লাগা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টির দাবি খারিজ করে দিয়েছেন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রধান রেফারিং আধিকারিক ট্রেভর কেটল। তাঁর বক্তব্য, “বল হাতে লাগলে দেখতে হবে হাত ন্যায্য জায়গায় ছিল কি না। যদি ন্যায্য জায়গায় থাকে তা হলে হ্যান্ডবল নয়। ন্যায্য জায়গায় না থাকলে তখন হ্যান্ডবল দিতে হবে। আপুইয়ার ক্ষেত্রে ওটা হ্যান্ডবল ছিল না। ওর হাত ন্যায্য জায়গায় ছিল। ও চেয়েছিল হাত সরিয়ে নিতে। হাত দিয়ে ইচ্ছে করে বল আটকায়নি।” কেটল জানিয়েছেন, বাকি রেফারিরাও তাঁর সঙ্গে সহমত।