Government School Transfer Plan

র‍্যাশনালাইজেশনের নামে সরকারি স্কুলে বদলির ভাবনা শিক্ষা দফতরের

সরকারি স্কুলে কোথায় কত শিক্ষক রয়েছেন কতদিন ধরে তাঁরা ওই স্কুলে চাকরি করছেন তার তথ্য জানানোর নির্দেশ দিল বিকাশ ভবন। স্কুল এডুকেশন কমিশনের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নেই। এরই মধ্যে র‍্যাশনালাইজেশন পদ্ধতিতে বদলির দিকে হাঁটল সরকার। সরকারি স্কুলে কোথায় কত শিক্ষক রয়েছেন কত দিন ধরে তাঁরা ওই স্কুলে চাকরি করছেন তার তথ্য জানানোর নির্দেশ দিল বিকাশ ভবন। স্কুল এডুকেশন কমিশনের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

বর্তমানে, রাজ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৩৯টি। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই সমস্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। ২০১৪ সালে শেষ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে এই স্কুলগুলিতে। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১১ বছর। এখনও কোনও শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলগুলিতে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার শূন্যপদ রয়েছে।

শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ শূন্য আসন রয়েছে সরকারি স্কুলগুলিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের পথ শূন্য। সহকারি প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা কোনও স্কুলে নেই। এই পরিস্থিতিতে সরকারি স্কুলের দৈনন্দিন কাজকর্ম চলছে। এর পরই বিকাশ ভবনের এই নির্দেশের পর একটি হুমকি তথা থ্রেট কালচারের শামিল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা বাড়ির কাছে বদলির জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের বদলির আবেদনে সাড়া না দিয়ে সরকার র‍্যাশনালাইজেশন-র নামে নিয়োগ না করে শিক্ষকদের বদলি করতে চলেছে তা সরকারি স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেবে বলে মনে করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু।

Advertisement
আরও পড়ুন