— প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। কাউকে বললে ছাত্রীর বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি তুলে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের নাম সব্যসাচী মসান ওরফে জন্টি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। পলাতক অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, জামালপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দোলরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা গৃহশিক্ষক সব্যসাচীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। নির্যাতিতা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। নাবালিকার মা লিখিত ভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তাঁর মেয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সব্যসাচীর বাড়িতে পড়তে যায়। পড়াতে পড়াতে সব্যসাচী হঠাৎই ঘর থেকে ছাত্রদের বার হতে বলেন। সেই সময় ঘরে ছিলেন শুধু তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, এর পর সব্যসাচী নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেন। পরে বিবস্ত্র করে সব্যসাচী মোবাইল ফোনে ছবিও তোলেন। এ সব নিয়ে মেয়ে প্রতিবাদ করলে সব্যসাচী হুমকি দেন যে, জানাজানি হলে সমস্ত ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবেন। এমনকি মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নাবালিকার মায়ের।
এই ঘটনার পর দিন নাবালিকা বাড়িতে সব খুলে বলে। তার পর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থানায় গিয়ে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। জেলার পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ জানিয়েছেন, গোপন জবানবন্দি পেশের জন্যে নাবালিকাকে বর্ধমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করানো হয়েছে। নাবালিকার মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সব্যসাচী মসানের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।