Wet Land

পুর প্রতিনিধি ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে জলা ভরাটের নালিশ

অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত পুর প্রতিনিধি নাজিমারা বেগম ও তাঁর স্বামী তথা জেলা কমিটির নেতা কঞ্চন কাজি। তাঁদের দাবি, সিপিএম-বিজেপির মদতে তাঁদের বদনাম করা হচ্ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৯
এই জলাজমি ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

এই জলাজমি ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

তৃণমূলের এক পুর প্রতিনিধি ও তাঁর স্বামীর মদতে জলাজমি ভরাট চলছে বলে অভিযোগ উঠল বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায়। বুধবার পুরপ্রধান-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন। অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত পুর প্রতিনিধি নাজিমারা বেগম ও তাঁর স্বামী তথা জেলা কমিটির নেতা কঞ্চন কাজি। তাঁদের দাবি, সিপিএম-বিজেপির মদতে তাঁদের বদনাম করা হচ্ছে।

পুরপ্রধানের কাছে দেওয়া অভিযোগ পত্রে দাবি করা হয়েছে, মূলত কাঞ্চনের মদতেই জলাজমি ভরাট চলছে। শতাব্দী প্রাচীন একটি নিকাশি খালের ধারে পাঁচিল দিয়ে আড়ালে খালটি ভরাট করে একটি ক্লাবের ঘর তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই খাল বুজিয়ে ফেলা হলে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

সেখান থেকে কিছুটা দূরে বেলতলা পুকুর জঞ্জাল দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও শিবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেও একটি ডোবা ভরাট, বাঁধ পাড়ার কাছে একটি সেচখাল বুজিয়ে ক্লাব ঘর তৈরি, স্বাস্থ্য নগরীর দক্ষিণ দিকে নিকাশি নালা সংস্কারের নামে সংলগ্ন খাস জমি বিক্রি, কেশবগঞ্জ চটিতে পুকুর ভরাট করে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা অভিযোগ উঠেছে।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে কাঞ্চন দাবি করেন, “নিকাশি নালার পাশে কোনও সরকারি জমি নেই, ব্যক্তিগত মালিকানার জমি রয়েছে। পুকুরেরও মালিকানা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক। সিপিএম-বিজেপির মদতে কয়েক জন আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।” তাঁর স্ত্রী, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি নাজিমারা বলেন, “দলের বদনাম করার জন্যই চক্রান্ত করা হচ্ছে।”

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ এসেছে। পুলিশও তাঁদের সতর্ক করেছে। কিন্তু তার পরেও অভিযোগ বন্ধ হয়নি। এসডিও (বর্ধমান উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পুরপ্রধান পরেশ সরকার বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

দলের রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, “জলাভূমি ভরাট থেকে বেআইনি কাজে দলের নেতা-কর্মীরা জড়িয়ে থাকলে মুখ্যমন্ত্রী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও অভিযোগ হয়ে থাকলে প্রশাসন বা পুরসভা তদন্ত করে দেখবে। দলেরও নজর থাকছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement