Shantanu Banerjee

নিয়োগ দুর্নীতির মাথা কে? প্রকাশ্যে নাম বলে গেলেন শান্তনু, সম্পত্তির প্রশ্নে জবাব, ‘সব দেখতে পাবেন’

সোমবার সকালে দু’দিনের ইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর বলাগড়ের এই যুবনেতাকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার আগে কুন্তলকে নিয়োগ দুর্নীতির ‘মূল চক্রী’ বলে দাবি করেন শান্তনু।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৭
Arrested TMC Leader Shantanu Banerjee says very near all will know who is the main culprit of corruption case

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় যাবতীয় অভিযোগের দায় চাপালেন কুন্তল ঘোষের ঘাড়ে। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক শাসকদলের নেতার। কিন্তু এমন দুর্নীতির নেপথ্যে মূলচক্রী ঠিক কে? সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এমনই নানা প্রশ্ন ধেয়ে যায় তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। ইডি দফতরে ঢোকার আগে তিনি যাবতীয় দায় চাপালেন কুন্তল ঘোষের উপর। তাঁর কথায়, ‘‘মোবাইল থেকেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’’

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছে ইডি। সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার হওয়া আর এক তৃণমূল নেতা কুন্তলের বয়ান আদালতে তুলে ধরে ইডি। বলা হয়, প্রায় ১ কোটি টাকা শান্তনুর হাতে তুলে দিয়েছেন কুন্তল। তদন্তকারীদের নাকি কুন্তল এ-ও জানান, বেআইনি কার্যকলাপের জন্যই ওই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে কোর্ট থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে দিকে যাওয়ার সময় ধৃত শান্তনুকে সে কথা জিজ্ঞাসা করতেই তারস্বরে তাঁর জবাব, ‘‘এক টাকাও দেয়নি।’’ পরে কুন্তলের উপরই যাবতীয় অভিযোগের দায় চাপিয়েছেন তিনি। বস্তুত, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া হুগলির এই দুই তৃণমূল নেতাই একে অন্যের কোর্টে যাবতীয় অভিযোগের বল ঠেলছেন। এবং তার প্রতিক্রিয়ায় দু’জনেই তা অস্বীকার করছেন।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় আদালত থেকে ইডি দফতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শান্তনুকে। তখন তিনি আবারও কুন্তলের নাম নেন। বলেন, ‘‘টোটাল স্ক্যাম (সব দুর্নীতি) কুন্তল করেছে।’’ পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নামে যে অবৈধ সম্পত্তি থাকার অভিযোগ উঠেছে, তা-ও অস্বীকার করেন শান্তনু। তাহলে তাঁর সম্পত্তি কি বৈধ? শান্তনুর উত্তর, ‘‘সব প্রমাণ হবে। আগামিদিনে দেখবেন।’’

প্রসঙ্গত, ইডির তরফে আদালতে আগেই তাপসের বয়ান তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৬ সালে একটি আবাসনে শান্তনুর সঙ্গে আলাপ হয় তাপসের। শান্তনুর উপর ভরসা রেখে কুন্তলকে প্রায় ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তাপস। ইডি সূত্রে এ-ও খবর, নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে বেশ কিছু বড় মাথা থাকলেও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সেই সব প্রভাবশালীদের যোগসূত্র ছিলেন শান্তনু, কুন্তল এবং এমন আরও কয়েক জন। অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কুন্তল তা তুলে দিতেন শান্তনুর হাতে। কিন্তু সে সব অস্বীকার করেছেন শান্তনু।

সোমবার সকালে দু’দিনের ইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর বলাগড়ের এই যুবনেতাকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার আগে কুন্তলকে নিয়োগ দুর্নীতির ‘মূল চক্রী’ বলে দাবি করেন শান্তনু। সোমবার বিচারক শান্তনুকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন