Junior Doctors' Protest

পুলস্ত্যর পর অনুষ্টুপ, এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন আরও এক অনশনকারী ডাক্তার

গত ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। গত ১২ অক্টোবর পেটে যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৬
Anushtup Mukherjee discharge from hospital after one week

ধর্মতলায় যখন অনশন করছিলেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

ধর্মতলার অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত ১২ অক্টোবর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি।

Advertisement

গত ১২ অক্টোবর রাতে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয় অনুষ্টুপকে। তাঁর চিকিৎসার জন্য আট জন চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছিল। সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা হয় তাঁর। প্রতি নিয়ত তাঁর বিভিন্ন স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্ট দেখেই চিকিৎসা করেন চিকিৎসকেরা। এক সপ্তাহ সেখানেই ছিলেন অনুষ্টুপ। শনিবার বিকেলের পর তাঁকে ছাড়া হয় হাসপাতাল থেকে।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

গত ৫ অক্টোবর ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অনুষ্টুপ। তার পর টানা সাত দিন সেখানেই অন্যদের সঙ্গে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের জানান, তাঁর মূত্রের সঙ্গে রক্ত বার হচ্ছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্ট’-এর প্রতিনিধিরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। প্রয়োজনীয় ওষুধও দেন। কিন্তু তার পরেও কমেনি পেটে ব্যথা। তখনই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁকে অনশন করতে দেওয়া যাবে না। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।

অন্য দিকে, শনিবার দুপুরেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছুটি পেয়েছেন অন্য এক অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য। তবে অন্য এক অনশননকারী তনয়া পাঁজা এখনও চিকিৎসাধীন। তনয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এখনও তাঁকে কিছু দিন হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে রাখতে চান চিকিৎসকেরা। অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলকাতা মেডিক্যালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এখন আইসিইউ থেকে তাঁকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব রয়েছে তাঁর। রয়েছে দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। শরীরের ফসফেটের মাত্রা কম। বৃদ্ধি পেয়েছে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ। সেই কারণেই আপাতত তনয়াকে কিছু দিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement