অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)-কে চিঠি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (বাঁ দিকে)-এর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’ নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। সেই অভিযোগ তিনি কেন্দ্রের ‘গোচরে’ এনেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সেই চিঠি প্রাপ্তির পর মঙ্গলবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-হ্যান্ডলে বোসের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলার মানুষের কল্যাণের বিষয়টি দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’’
সোমবার রাজভবনের বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন বোস। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। ১২টা নাগাদ রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসেন। সেখানে কী কথা হয়েছে, তা যদিও জানাননি বোস। এর পরেই মঙ্গলবার এক্সে অভিষেক লেখেন, ‘‘বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলার মানুষের কল্যাণের বিষয়টি দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য। ১০০ দিনের কাজে (এমজিএনআরইজিএ) পশ্চিমবঙ্গের ২১ লক্ষ মানুষ যে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্যও তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’
My heartfelt gratitude to the @BengalGovernor C V Ananda Bose, for promptly addressing the pressing issue concerning the welfare of the people of Bengal.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) October 10, 2023
Specifically, his swift intervention for the rightful entitlements of over 21 lakh+ individuals of WB deprived under #MGNREGA pic.twitter.com/t4ljyPDXYX
‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র অভিযোগ জানিয়ে দিল্লিতে গত ২ এবং ৩ অক্টোবর দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। গত ৩ অক্টোবর কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যান অভিষেকরা। সঙ্গে ছিলেন ‘বঞ্চিত’ পরিবারের প্রতিনিধিরাও। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখা না-করেই পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান জ্যোতি। তার পরে পুলিশ কৃষি ভবন থেকে অভিষেকদের আটক করে তুলে নিয়ে যায়। এর পরেই অভিষেক ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির ডাক দেন।
কিন্তু নির্ধারিত দিনে রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। এর পর রাজভবনের উত্তর গেটে ধর্নায় বসেন অভিষেক। পাঁচ দিন পর, সোমবার অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। আশ্বাস দেন, ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র অভিযোগ কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবেন। বৈঠকের পরেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের আশ্বাস পেয়ে এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে ধর্না তুলে নেন অভিষেক। যদিও শর্ত দেন। জানান, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ না-করলে ফের পথে নামবে তৃণমূল। তবে এ বার মমতার নেতৃত্বে। এর পরেই রাজ্যপাল বিষয়টি কেন্দ্রের গোচরে আনার কথা চিঠি দিয়ে জানান অভিষেককে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। এর পরেই এক্সে কৃতজ্ঞতা জানান অভিষেক।