গোয়ার সমুদ্রে যাত্রিবাহী নৌকা উল্টে এক জনের মৃত্যু, আহত অনেকে। ছবি: পিটিআই।
মুম্বইয়ের পর এ বার গোয়া। সমুদ্রে আবার উল্টে গেল যাত্রিবাহী নৌকা। অন্তত এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ২০ জনকে। একাধিক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নৌকাটিতে মোট কত জন ছিলেন, এখনও স্পষ্ট হয়নি।
গোয়ার কলঙ্গুট সমুদ্রসৈকতে বুধবার বিকেলে যাত্রিবাহী নৌকাটি উল্টে যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে উদ্ধারকারী দলের সদস্য সঞ্জয় যাদব বলেন, ‘‘একটি নৌকা উল্টে গিয়েছিল। আমাদের লাইফগার্ডদের টহলদারি গাড়ি কাছেই ছিল। আমরা পাঁচ থেকে ছ’টি উদ্ধারকারী নৌকা নিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। কারণ, নৌকা উল্টে গেলে সাধারণত অনেকে ভিতরে আটকে পড়েন। বয়স্ক এবং শিশুরাও থাকে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। আমরা তাই সময় নষ্ট করিনি। দ্রুত চারদিকে খবর পাঠাই এবং আমাদের আরও নৌকা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আমরা ওই নৌকা এবং আশপাশের জল থেকে অন্তত ১৩ জনকে উদ্ধার করেছি। পরে আরও কয়েক জনকে উদ্ধার করা হয়। তবে নৌকাটিতে মোট কত জন ছিলেন, আমরা জানি না।’’
নৌকা উল্টে যাওয়ায় একই পরিবারের ছ’জন তার নীচে আটকে গিয়েছিলেন। তাঁদের টেনে তুলতে বেশ বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। বেশ কিছু ক্ষণ তাঁদের জলেই হাবুডুবু খেতে হয়েছে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘এক পরিবারের ছ’জন নৌকার নীচে আটকে গিয়েছিলেন। তাঁদের আমরা অনেক কষ্টে উদ্ধার করেছি। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাঁরা বেশ কিছু ক্ষণ জলে ছিলেন। জল থেকে তোলার পর আমরা ওই ছ’জনের জন্য অক্সিজেন এবং অন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের বন্দোবস্ত করেছিলাম। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এক জন মারা গিয়েছেন। তাঁর বয়স ৫২ বছর।’’
কী কারণে নৌকাডুবি? উদ্ধারকারীরা তাঁর সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁদের কথায়, ‘‘ঠিক কী হয়েছিল বলতে পারব না। আমরা যখন দেখলাম, তত ক্ষণে নৌকাটি উল্টে গিয়েছিল। সমুদ্রের ঢেউয়ের কারণেও এটা হতে পারে।’’
কিছু দিন আগে মুম্বইয়ের এলিফ্যান্টা গুহায় ঘুরতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নীলকমল নামে একটি যাত্রিবাহী লঞ্চ। নৌসেনার একটি স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লঞ্চটিতে ধাক্কা মেরেছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। লঞ্চে মোট ১১৩ জন ছিলেন। ৯৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। ছ’জনের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনার পরপরই। পরে একে একে বাকিদের মৃত্যুর খবর আসে।