নওশাদ সিদ্দিকি ও আরাবুল ইসলাম। — ফাইল চিত্র।
দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ একাধিক নেতাকর্মী এখন পুলিশ হেফাজতে। দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা রূপায়ণে সোমবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা শরিফে বৈঠকে বসতে চলেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর নেতারা। সেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে নওশাদের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ের আইএসএফের সমর্থকরা। সোমবারই আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারাও।
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ ফুরফুরা শরিফে বৈঠক ডেকেছেন আইএসএফ-এর রাজ্য কমিটির নেতারা। ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা রায়নুল হক জানিয়েছেন, দলের এক মাত্র বিধায়ক-সহ দলের অনেক নেতাকর্মী এখন পুলিশ হেফাজতে। তাঁর দাবি, ভাঙড়ে আতঙ্কের জেরে এখন দলের বহু কর্মীও বাড়ি ছাড়া। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নীতি কী হবে, তা নির্ধারণ করতেই এই বৈঠক বলে জানিয়েছেন রায়নুল। এই ঘটনার পর আইএসএফের রাজ্য নেতারা কী বার্তা দেবেন কর্মী এবং সমর্থকদের, সে দিকে তাকিয়ে সকলে।
সোমবার বৈঠকে বসছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারাও। এ কথা জানিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল। তাঁর দাবি, ‘‘এলাকা আপাতত শান্তিপূর্ণ।’’ এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে দলের নেতা, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে ওই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আরাবুল। এ ছাড়া আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলের ডাকও দিয়েছে তৃণমূল। আরাবুলের দাবি, ভাঙড়ের বিধায়কের উপর আস্থা হারিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নওশাদ নিজে হিংসা ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আইএসএফ কর্মীদের ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা মেনে নিয়েছেন আরাবুল। তাঁর দাবি, আইএসএফের ওই নেতাকর্মীরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
গত কয়েক দিন ধরে ভাঙড়ে অশান্তির জেরে থমথমে এলাকা। টহলদারি চালাচ্ছেন ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশকর্মীরা। একাধিক জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। রবিবার রাতেও তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ।বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘নতুন করে কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে এলাকায় পুলিশ পিকেট থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় টহলদারিও চালাবে পুলিশ।’’