—প্রতীকী চিত্র।
ছেলে এবং বৌমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিলেন অশীতিপর বৃদ্ধ। বুধবার এমনই অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর এলএমবি রোড এলাকায়। মৃতের ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত বৃদ্ধের নাম বীরেন দেব। বয়স ৮৫ বছর। বুধবার সকালে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ছেলে এবং বৌমার অত্যাচারে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ। এ নিয়ে এলাকায় শোরগোল শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দেহ। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধের ছেলে সজল দেবকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূ্ত্রে জানা যাচ্ছে, বীরেনবাবু বিপত্নীক। অনেক দিন আগে বৃদ্ধের বাড়ি নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন সজল এবং তাঁর পত্নী। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, নিজের তৈরি বাড়িতেই থাকার মতো জায়গা দেওয়া হচ্ছিল না বৃদ্ধকে। নিত্য দিন তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন ছেলে এবং বৌমা। প্রতিবেশী পীযূষ দে বলেন, ‘‘ওঁকে খেতেও দেওয়া হত না। মঙ্গলবার রাতেও বৃদ্ধ মানুষটাকে মারধর করা হয়েছে। সকালে বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন। আমাদের মনে হচ্ছে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানুষটা আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ছেলে-বৌমার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ কণিকা দত্ত নামে আর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ওদের বাড়িটার ভগ্ন অবস্থা। বৃদ্ধের কাছ থেকে বাড়ি লিখিয়ে নিয়েছিল ছেলে। কিন্তু একটা ঘর মেলেনি বাবার।’’
বৃদ্ধের দেহ উদ্ধারের পর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। ছেলে-বৌমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল খড়দহ থানার পুলিশ বাহিনী। দেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্তকে আটক করে তারা। তবে এখনও পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।