Kultali

আবার কুলতলি! মূক এবং বধির মহিলাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত প্রতিবেশী

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছে তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কুলতলি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪৫

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মূক ও বধির মহিলাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় মূক ও বধির ওই মহিলাকে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তেন ওই মহিলা। একা একা বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন। মঙ্গলবার দুপুরেও রোজকার মতো একা বেরিয়ে ছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়েই তাঁকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী এক যুবক। এর পর বেশ কিছু ক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে মহিলার পরিবার। তখনই ওই পোড়ো বাড়িতে তাঁর খোঁজ মেলে। ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত যুবককেও দেখে ফেলেন নির্যাতিতার পরিজনেরা। দ্রুত তাঁরা অন্য প্রতিবেশীদেরও ডেকে আনেন। এর পরেই বুধবার কুলতলি থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার।

মঙ্গলবারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের আরও অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রহ্লাদ নস্কর। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছে তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রহ্লাদ। তিনি জানিয়েছেন, খবর পেয়ে যখন তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ফোনেই নির্যাতিতার পরিজনদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। অন্য দিকে, অভিযোগ পেয়ে বুধবারই ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই বিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তদন্ত চলছে।’’

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই কুলতলির অদূরে জয়নগরে একটি জলাজমিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ন’বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকা। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। সেই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সেই কুলতলিতেই।

আরও পড়ুন
Advertisement