Elephants

বান্ধবগড়ের জঙ্গলে মিলল চার হাতির দেহ, আশঙ্কাজনক আরও পাঁচ, বিষক্রিয়া, অনুমান বন দফতরের

মৃত চারটি হাতির মধ্যে তিনটি মহিলা এবং একটি পুরুষ হাতি রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পশুচিকিৎসকদের একটি দল। জঙ্গলেই অসুস্থ হাতিগুলির চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১১

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানে মিলল চার হাতির দেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও পাঁচটি হাতিকে। মঙ্গলবার বিকেলে হাতিগুলিকে ওই অবস্থায় দেখতে পান বন দফতরের কর্মীরা। তাঁদের অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

Advertisement

বন দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার বিকেলে তাঁরা বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিতাউলি এলাকায় দু’টি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। এর পর আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয় আরও দু’টি হাতির মৃতদেহ। বন দফতর সূত্রে খবর, ওই ন’টি হাতি একই পালের। ওই পালে সব মিলিয়ে ১৩টি হাতি ছিল। এখনও পর্যন্ত বাকি হাতিগুলির খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত চারটি হাতির মধ্যে তিনটি মহিলা এবং একটি পুরুষ হাতি রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পশুচিকিৎসকদের একটি দল। পৌঁছন জবলপুরের স্কুল অফ ওয়াইল্ডলাইফ ফরেন্সিক অ্যান্ড হেল্‌থ-এর কর্মীরাও। জঙ্গলেই অসুস্থ হাতিগুলির চিকিৎসা চলছে। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বন দফতরের আধিকারিক বিজয় এন আম্বাদে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রথমে দু’টি হাতিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও পরে সেই সংখ্যা বেড়ে চারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষাক্ত কোনও খাদ্য থেকে এমনটা হতে পারে। তদন্ত চলছে। গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’

অজয় দুবে নামে বন দফতরের এক কর্মী জানাচ্ছেন, সম্ভবত, ওই হাতিগুলি বনের বাইরে কিছু খেয়েছিল। সেই থেকেই বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে। কিংবা অতিরিক্ত কীটনাশক দেওয়া ফসল খাওয়ার ফলেও হাতিগুলির মৃত্যু হতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখতে চলছে তদন্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement