মঙ্গলবার নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে পুজো দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর দলকে ঢেলে ভোট দিয়েছে জনতা। জয় পাওয়ার পর নৈহাটি গিয়ে বাসিন্দাদের সুবিধার্থে একাধিক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে পুজো দেন মমতা। পরে নৈহাটি ফেরিঘাটের নাম ‘বড়মা’-র নামে রাখার ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, নৈহাটিতে পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির কথাও জানান। এ ছাড়া, বড়মার মন্দিরে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঘাটটি সংস্কারের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার দুপুরেই নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে আসেন মমতা। মন্দিরের মধ্যে ছিলেন বেশ কিছু ক্ষণ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম-সহ নৈহাটি এবং ভাটপাড়ার জনপ্রতিনিধিরা। উপনির্বাচনে জয়ের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান মমতা। তার পরই নৈহাটি এবং ভাটপাড়ার হাসপাতালে ওপিডি চালুর কথা জানান। পার্থের সাংসদ তহবিল থেকে ওই ওপিডি তৈরি হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার কথায় উঠে এসেছে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার কথা। পাঁচ বছর আগে অশান্ত ভাটপাড়া-ব্যারাকপুরে এসে দখল হওয়া দলীয় কার্যালয় কী ভাবে নিজের হাতে উদ্ধার করেছিলেন, তা উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘সে সময় এখানে এসে আমি রাস্তায় নেমে ঘণ্টা দুয়েক বসে ছিলাম। সাধারণ মানুষ যাতে ভয় না পেয়ে বাড়ির বাইরে বার হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম।’’ উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এই এলাকা অশান্তির জন্য মাঝেমধ্যেই খবরে আসে। নৈহাটিতে পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত সেই অশান্তিতে লাগাম পরানোরই চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে একটি নৈহাটি। তৃণমূল সব ক’টি আসনেই জিতেছে। এর পর মঙ্গলবারই নৈহাটি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপনির্বাচনে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতেছেন নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। প্রতি বছর নৈহাটির বড়মার মন্দিরে ধুমধাম করে কালীপুজো হয়। গত বছর সেই পুজো শতবর্ষ পেরিয়েছে। সদ্য নির্মিত হয়েছে মন্দিরও। গত বছর বড়মার মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার নতুন মন্দিরে এসে পুজো দিলেন মমতা।