(বাঁ দিকে) জহর সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই আবার বাজল ভোটের বাদ্যি। তবে এ বার রাজ্যসভার নির্বাচন। দেশের চার রাজ্যের ছয় ফাঁকা আসনের জন্য নির্বাচন হবে ডিসেম্বর মাসে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে।
কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যসভার ছয় আসনে উপনির্বাচন হবে। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আসন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গণনা হবে ওই দিন বিকেল ৫টা থেকে। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মনোনয়ন পেশ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি হবে ১১ ডিসেম্বর। ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ মিলবে। বাংলা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, ওড়িশা এবং হরিয়ানার একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বিগত দু’-তিন মাসে রাজ্যসভার এই ছয় আসনের সাংসদেরা বিভিন্ন কারণে ইস্তফা দেন। তার ফলে শূন্যস্থানে সাংসদ নির্বাচনের জন্যই ভোট করাবে কমিশন।
বাংলায় আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ইস্তফার পর সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১২-য়। পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে একটি খালি ছিল। তৃণমূল ছাড়াও এ রাজ্য থেকে বিজেপির দুই এবং বামেদের এক জন রাজ্যসভা সাংসদ রয়েছেন। জহরের জায়গায় বাংলার শাসকদল রাজ্যসভার জন্য কাকে মনোনীত করে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।