—প্রতীকী ছবি।
নিজেরই এক প্রাক্তন ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন একটি স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষিকা। ছাত্র সেই সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। চিনের একটি স্কুলের শিক্ষিকা তাঁর থেকে দশ বছরের ছোট এক ছাত্রের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ উঠেছে।
‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষিকার এবং তাঁর প্রাক্তন ছাত্রের মধ্যে সম্পর্কটি পাঁচ বছর ধরে চলেছিল। সেই ছাত্র দাবি তুলেছেন, তিনি ৭০০,০০০ ইউয়ান বা ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ লক্ষ টাকা ও নানা উপহার দিয়েছেন। যা তাঁদের সম্পর্ক থাকার সময় শিক্ষিকা তাঁর কাছ থেকে চেয়েছিলেন। শিক্ষিকার এ হেন আচরণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ঘটনা জনসমক্ষে আসতেই প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছে।
একটি ভিডিয়োয় হে নামের সেই যুবক তাঁরই প্রাক্তন শিক্ষিকার নামে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন শিক্ষকা শেই জিয়াশিয়াং ও তাঁর মধ্যে দীর্ঘ দিন অবৈধ সম্পর্ক বজায় ছিল। হে বলেন, শেই এক সময় তাঁর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তখন হে নিজের শিক্ষিকার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। হে স্নাতক হয়ে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই বিবাহিত শেইয়ের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। পাঁচ বছরে তাঁদের মধ্যে বহু বার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনকি তাঁরা দু’জনে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনাও করেন। সেই সময়ই শেই হের থেকে অর্থের দাবি করেন। ওই ৮২ লক্ষেরও বেশি টাকা শেইয়ের হাতে তুলে দেন বলে দাবি করেছেন হে।
আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হে সেই টাকা ফেরতের অনুরোধ করেন শেইকে। শেই তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং হের বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দায়ের করেন। এর পাল্টা জবাবে হে স্থানীয় শিক্ষা দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করে তাঁদের অবৈধ সম্পর্ক প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। শেই এই অভিযোগের কোনও জবাব দেননি বলেই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। অভিযোগ জমা পড়তেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিংজিয়াং-এর শিক্ষা দফতর ২৩ ডিসেম্বর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিলশেইকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।