Viral Video

‘চাকার ফাঁকে বসে ভ্রমণ সম্ভব নয়’, তরুণের ২৯০ কিমি ‘সফরের’ ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে জানাল রেল

বৃহস্পতিবার জবলপুর ঢোকার আগে দানাপুর এক্সপ্রেসের কামরাগুলির ‘আন্ডার-গিয়ার’ পরীক্ষা করছিলেন রেলকর্মীরা। তখন তাঁরা দেখেন এস৪ কামরার নীচে এক তরুণ লুকিয়ে রয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২৭
Rail gives statement regarding Video of man who claims to travel 250 km under train

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

ট্রেনের চাকার ফাঁকে ২৯০ কিলোমিটার ভ্রমণ! এক মত্ত তরুণের এ-হেন দাবিতে হইচই পড়েছিল মধ্যপ্রদেশে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি দিল রেল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই তরুণ যা দাবি করেছে তা বাস্তবে সম্ভব নয়। কারণ, অ্যাক্সেল সেটের কারণে চাকার ফাঁকে বসে সফর করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। পাশাপাশি, ওই তরুণকে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন এবং তাঁর দাবি বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেছে রেল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জবলপুর ঢোকার আগে দানাপুর এক্সপ্রেসের কামরাগুলির ‘আন্ডার-গিয়ার’ পরীক্ষা করছিলেন রেলকর্মীরা। তখন তাঁরা দেখেন এস৪ কামরার নীচে এক তরুণ লুকিয়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাইরে বেরোতে বলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেখা যায়, তিনি মত্ত অবস্থায় রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, ইটারসী থেকে তিনি ট্রেনে চড়েছিলেন। ২৯০ কিলোমিটার তিনি ট্রেনের চাকার ফাঁকে বসে সফর করেছেন। এর পরেই ওই তরুণকে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেল সুরক্ষা বাহিনী ইতিমধ্যেই ওই তরুণের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় দেশ জুড়ে। ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি। (যদিও সেই ভিডিয়ো সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) তবে ভিডিয়োটি নিয়ে আলোড়ন পড়তেই নড়েচড়ে বসেন রেল কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতি জারি করে রেলের দাবি, ওই যুবক যা বলেছেন তা ‘বিভ্রান্তিকর’। অ্যাক্সেল সেটের কারণে চাকার মধ্যে বসা যে কারও পক্ষে অসম্ভব। কারণ, ট্রেনের চাকার পাশে থাকা অ্যাক্সেল সেট সব সময় ঘুরতে থাকে। উল্লেখ্য, অ্যাক্সেল সেট হল একটি ধাতব রড যা একটি ট্রেন উভয় পাশের চাকাকে সংযুক্ত করে। চাকাগুলি যাতে একই গতিতে ঘুরতে থাকে, তার জন্য অ্যাক্সেল সেট লাগানো হয়। রেল তার বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ভিডিয়োতে যে তরুণকে দেখা গিয়েছে তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। চাকার ফাঁকে বসেই ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার যে দাবি তিনি করেছেন, তা-ও ভিত্তিহীন। ট্রেনের অ্যাক্সেল সব সময় চলতে থাকে। যার ফলে কারও পক্ষে তার উপর বসা অসম্ভব। তরুণের দাবি বিভ্রান্তিকর।’’

পশ্চিম মধ্য রেলওয়ের আধিকারিকরা এ-ও জানিয়েছেন যে, পুরো বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং বেপরোয়া আচরণের জন্য তরুণের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন