—প্রতীকী ছবি।
কন্যার বয়স যত বাড়ছে, তত সুন্দরী হয়ে পড়ছে। অথচ বাবা-মায়ের সঙ্গে মুখের কোনও মিলই নেই। বিষয়টি নজরে পড়তেই ডিএনএ পরীক্ষা করান তরুণ। তাঁর সন্দেহই সত্য প্রমাণিত হয়। তিনি জানতে পারেন যে, ওই কন্যা তাঁর নিজের সন্তান নয়। স্ত্রীর প্রতি পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। অধিকাংশ সময় মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন তরুণ। স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে দূরত্বও বাড়তে থাকে তাঁর। সংসারে চিড় ধরে যাওয়ায় কন্যাকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যান তরুণের স্ত্রী। নতুন জায়গায় গিয়ে কন্যাকে নতুন স্কুলে ভর্তি করান তিনি। তার পরেই রহস্যের সমাধান হয়।
ঘটনাটি ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির। সেখানে বহু বছর ধরে স্ত্রী হং এবং কন্যা ল্যানের সঙ্গে থাকতেন জ্যাক (নাম পরিবর্তিত)। ল্যানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চোখমুখ দেখে অবাক হয়ে যেতে শুরু করেন জ্যাক। জ্যাক অথবা হং— কারও সঙ্গেই চেহারাগত মিল নেই ল্যানের। সন্দেহ দূর করতে ল্যানের ডিএনএ পরীক্ষা করান জ্যাক। তাঁর সন্দেহই যেন সত্যি হয়ে যায়। ল্যান তাঁর নিজের সন্তান নয়, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল থেকে তা জানতে পারেন জ্যাক। তার পর থেকেই হং এবং ল্যানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি। হং যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ল্যান যে সেই তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান— এমন দাবি করে বসেন জ্যাক। হংয়ের কথাও বিশ্বাস করতে চাননি তিনি।
অধিকাংশ সময় মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন তিনি। এমনকি স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে পড়ছিল তাঁর। সংসারে চিড় ধরে যাওয়ায় ল্যানকে নিয়ে হানোইয়ে চলে যান হং। সেখানে গিয়ে নতুন স্কুলে ভর্তি করানো হয় ল্যানকে। নতুন স্কুলে গিয়েই রহস্যের উন্মোচন হয় ল্যানের। ল্যানের সঙ্গে তার সহপাঠীর ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তার জন্মদিনের পার্টিতে সহপাঠীর বাড়িতে যায় ল্যান। ল্যানের বান্ধবীর মা ল্যানকে দেখে চমকে যান। ল্যান যে তাঁর মতোই দেখতে! দুই পরিবারের সহমতে আবার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। জানা যায় যে, হং নন, ল্যানের মা আসলে তাঁর বান্ধবীর মা। হাসপাতালে কোনও ভাবে সন্তান বদল হয়ে যায় তাঁদের।