Madhya Pradesh

‘টার্গেট পূরণ করতে হবে’, রাস্তায় হাঁটার ‘দোষে’ চালান কাটল পুলিশ! মধ্যপ্রদেশে যুবকের দাবিতে হইচই

সুশীলের অভিযোগ, কোনও গাড়ি বা বাইকে না থাকা সত্ত্বেও হেলমেট না পরার জন্য তাঁর নামে ৩০০ টাকার ভুয়ো চালান কাটা হয়। বাইকের নম্বর লেখার জায়গায় অজানা একটি নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪১

—প্রতীকী ছবি।

রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার সময় পুলিশের নজরে পড়লেই চালান ধরায় ট্র্যাফিক পুলিশ। শুধু কলকাতা বা এ রাজ্যেই নয়, সারা দেশে প্রায় একই নিয়ম। কিন্তু রাস্তায় হাঁটার জন্যও চালান কেটেছে ট্র্যাফিক পুলিশ! অবিশ্বাস্য মনে হলেও অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশের পান্নার অজয়গড় এলাকার এক বাসিন্দা। এই নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম নিউজ় ১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অজয়গড় এলাকার ওই ব্যক্তির নাম সুশীল কুমার শুক্লা। পেশায় শ্রমিক সুশীল গত শনিবার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্য পরিচিতদের নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়েছিলেন। আমন্ত্রণপত্র নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটেই যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে দাঁড় করায় ট্র্যাফিক পুলিশ। রাস্তায় হেলমেট না পরে হাঁটার জন্য ভুয়ো চালান কাটা হয় তাঁর নামে।

সুশীলের অভিযোগ, কোনও গাড়ি বা বাইকে না থাকা সত্ত্বেও হেলমেট না পরার জন্য তাঁর নামে ৩০০ টাকার ভুয়ো চালান কাটা হয়। বাইকের নম্বর লেখার জায়গায় অজানা একটি নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়। সুশীল আপত্তি জানালে ওই ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণকারী অফিসার তাঁকে জানান, ‘‘ট্র্যাফিক থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট ‘টার্গেট’ পূরণ হয়।’’ আর তার জন্যই নাকি ওই ভুয়ো চালান।

এর পরেই পান্নার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন সুশীল। পুরো বিষয়টি শুনে অবাক হয়ে যান তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অজয়গড় থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। পুরো বিষয়টি ‘অযৌক্তিক’ বলেই তাঁর দাবি। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।

Advertisement
আরও পড়ুন