ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
গভীর সমুদ্রের রহস্য জানার আগ্রহ চিরকালীন। সেই জগৎ একাধারে যেমন সুন্দর, তেমনই ভয়ঙ্কর। সমুদ্রের নীচের সেই ভয়ানক রূপেরই একটা ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যুর মুখ ছুঁয়ে ফিরে এলেন চিনের এক সমুদ্রপ্রেমী তরুণী। গভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তে বিশাল একটি টাইগার শার্ক এসে তাঁর মাথায় কামড় বসায়। কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে সরে যান তিনি। ভিডিয়োটি ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনাটি ঘটেছে মলদ্বীপে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, নভেম্বরের ১৫ তারিখ মলদ্বীপের হুলহুমাল্লে দ্বীপে এই ঘটনাটি ঘটে। ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক তরুণী গভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন। সমুদ্রের নীল জল কাটিয়ে হঠাৎই একটি বিশাল টাইগার শার্ক সামনে এগিয়ে আসে। পিছন দিক থেকে এসে চোখের নিমেষে সেই দৈত্যকার প্রাণী তরুণীর মাথায় কামড় বসায়। ঘটনাটি ঘটার কয়েক সেকেন্ড আগেও তরুণী আসন্ন বিপদ টের পাননি। টাইগার শার্কের গ্রাস থেকে নিজেকে কোনও মতে ছাড়িয়ে সেখান থেকে সরে যান তরুণী। টাইগার শার্কটিও অন্য শিকারের খোঁজে চলে যায়।
‘সিজিটিএন ইউরোপ’ নিজেদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে ভিডিয়োটি ভাগ করে নিয়েছে। সেই ভিডিয়োর ক্যাপশন অনুযায়ী, হাঙরের আক্রমণে তরুণীর মাথার পিছনের দিকে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং সেখানে ৪০টি সেলাই পড়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই প্রচুর মানুষ সেটি নিজেদের সমাজমাধ্যমের পাতায় শেয়ার করে নিয়েছেন। কমেন্ট বক্সে নেটাগরিকেরা নানা মন্তব্য করেছেন। এক জন বলেছেন, ‘‘তরুণীর ভাগ্য ভাল তাই টাইগার শার্ক তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন।’’ অন্য এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী আবার লিখেছেন, ‘‘মাথা কামড়ানোর পর স্বাদটা আর ভাল না লাগায় টাইগার শার্কটি তরুণীকে চলে যেতে দিয়েছে।’’