শিল্পপতি গৌতম আদানি (বাঁদিকে) এবং হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকান শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শেয়ার বাজারে ঝড় তুললেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি তাঁর সংস্থাগুলির স্টকের দর সব মিলিয়ে বেড়েছে প্রায় নয় শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সূচক আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তার পরই হু হু করে পড়েছিল শিল্পপতি আদানির সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) প্রায় ৬০০ টাকায় চলেছে আদানি পাওয়ারের স্টকের লেনদেন। অন্য দিকে গ্রিন এনার্জি, আদানি এন্টারপ্রাইজ় এবং আদানি টোটাল গ্যাসের মতো সংস্থাগুলির শেয়ারের দর বেড়েছে যথাক্রমে ৮.৮, ৭.৭ ও ৮ শতাংশ। এই কোম্পানিগুলির শেয়ারের লেনদেন চলছে যথাক্রমে ১,১২৬, ২,৫৬৯ এবং ৭০৯ টাকায়।
এ ছাড়া ৬.৬ শতাংশ বেড়ে আদানি এনার্জি সলিউশনের স্টকের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৩২ টাকা। আদানি পোর্টসের এক একটি শেয়ারের কেনা-বেচা চলছে ১,১৯০ টাকায়। এই সংস্থার স্টকে ৫.৫ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে কম দাম বেড়েছে আদানি উইলমারের। এর শেয়ার চড়ছে মাত্র ০.৫ শতাংশ। অম্বুজা সিমেন্টের স্টকের দাম বেড়েছে ৪.৫ শতাংশ। আদানির এই সিমেন্ট সংস্থার শেয়ারের দাম ৫৪৩ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের জারি করা রিপোর্টের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আদানিদের ব্যবসা। আমেরিকার শর্ট সেলার সংস্থাটি দাবি করে, কারচুপি করে নিজের সংস্থাগুলির শেয়ারের দর বাড়িয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। শুধু তা-ই নয়, আমদানির খরচ বেশি দেখিয়ে ভুয়ো নথির সাহায্যে ঘুরপথে নিজেদের শেয়ার কিনে নিয়ে কৃত্রিম ভাবে স্টকের দাম বাড়িয়ে দেন তিনি। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল আদানি গোষ্ঠী।
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি হঠাৎ করেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। সংস্থা বন্ধ করার নেপথ্যে কারও হুমকি-হুঁশিয়ারি বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি। এর পরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর।