—প্রতীকী ছবি।
বিয়ে ভাঙার খেসারত দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হলেন ৭৭ বছর বয়সি বৃদ্ধ। ১৮ বছর ধরে চলা বিবাহবিচ্ছেদ মামলার রায় বেরোনোর পর দেখা গেল বিচ্ছেদ পেতে গেলে স্ত্রীকে দিতে হবে তিন কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ। বিবাহবিচ্ছেদ পাওয়ার শর্তপূরণ করতে গিয়ে চাষের জমি, খেতের ফসল, এমনকি ৪০ লক্ষ টাকার সোনার অলঙ্কার বিক্রি করতে হয়েছে এই বৃদ্ধকে। হরিয়ানার কর্নাল জেলার কৃষক সুভাষ চন্দ্র। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর স্ত্রী সন্তোষ কুমারীর সঙ্গে ৪৪ বছরের দাম্পত্যজীবন শেষ হয় তাঁর। সেই বিচ্ছেদের জন্যই মোটা টাকার স্থায়ী বন্দোবস্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সুভাষের মৃত্যুর পরেও তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের তাঁর সম্পত্তির উপর কোনও দাবি থাকবে না। ১৯৮০ সালের অগস্ট মাসে গাঁটছড়া বাঁধেন এই দম্পতি। তাঁদের চার সন্তান। এঁদের মধ্যে এক জন মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। ২০০৬ সাল থেকে দু’জনের দাম্পত্যে ফাটল ধরে। মতবিরোধের কারণে আলাদা থাকতে শুরু করেন সুভাষ ও সন্তোষী। মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন সুভাষ। প্রথমে তাঁর আবেদনটি কর্নাল পারিবারিক আদালত খারিজ করে দেয়। হাল ছাড়তে নারাজ সুভাষ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
গত সপ্তাহে সেই আদালত সুভাষকে বিবাহবিচ্ছেদের খোরপোশের জন্যে তিন কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বৃদ্ধের আইনজীবী জানিয়েছেন, ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ফসল বিক্রি করে ৫০ লাখ টাকা এবং গয়না বিক্রি করে ৪০ লাখ টাকা জোগাড় করেছেন ওই বৃদ্ধ। চুক্তি অনুসারে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা সম্পত্তির সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।