—ছবি: সংগৃহীত।
বিমা সংস্থার টাকা আদায়ের অভিনব পন্থা নিলেন চার ব্যক্তি। ভালুকের পোশাক পরে নিজেদের সাত কোটির রোলস রয়েসকে নিজেরাই ক্ষত বিক্ষত করলেন। তবে সেই চালাকি ধোপে টিকল না বিমা সংস্থার কাছে। বিমা সংস্থাকে প্রতারণা করার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন। বুধবার এই গ্রেফতারির ঘটনাটি ঘটার পর তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে তাজ্জব হয়ে যান অনেকেই। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে ওই চার জন বিমার টাকা পেতে পুরোদস্তুর ভালুকের পোশাক পরে নিজেদেরই বিলাসবহুল গাড়ির ক্ষতি করেন। ভাইরাল হওয়া সেই পোস্টটিতে একটি ভালুকের নকল চামড়া ও ধারালো নখের ছবি দেওয়া হয়েছে যার সাহায্যে দামি গাড়িটিতে আঁচড় কাটা হয়েছে ও অন্দরসজ্জা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
তার পর সেই গাড়িটির ক্ষতিপূরণ দাবি করতে বিমা সংস্থার দ্বারস্থ হন। বিমা সংস্থার পক্ষ থেকে ছিঁড়ে যাওয়া আসন এবং ক্ষতিগ্রস্ত দরজাগুলি পরীক্ষা করে সন্দেহ জাগে। গাড়ির মালিকেরা দাবি করেন, লস অ্যাঞ্জেলসের বাইরে একটি পাথুরে এলাকার লেক অ্যারোহেডে গাড়িটিকে রাখা হয়েছিল। সেখানেই একটি ভালুক গাড়িতে উঠে গাড়িটিকে আক্রমণ করে তার দরজা ও ভিতরের বসার আসন নষ্ট করে দেয়। নিজেদের দাবিকে সত্য প্রতিপন্ন করতে চার ব্যক্তি গাড়ির ভিতরের ক্যামেরার একটি ফুটেজও সামনে আনেন। গাড়িতে যে সত্যিই ভালুক ঢুকেছিল তা প্রমাণ করতে এই ফুটেজটি তাঁরা পেশ করেন।
বিমা সংস্থার তদন্তরকারীরা পুরনো নথি ঘেঁটে বার করেন, এর আগেই ঠিক একই কায়দায় দু’টি মার্সিডিজ় গাড়ির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। সেখানেও গাড়ির চারপাশে ভালুকের তাণ্ডব চালানোর ভিডিয়ো ফুটেজ ছিল। সন্দেহ প্রবল হওয়ায় ও ভিডিয়োয় আসল ভালুক ছিল না তা আরও নিশ্চিত করার জন্য, একজন জীববিজ্ঞানীকে দিয়ে তিনটি ভিডিয়ো পরীক্ষা করানো হয়। তিনিও মতামত দেন যে এটি একটি ভালুকের পোশাক পরা মানুষ। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভালুকের পোশাক ও নখ খুঁজে পাওয়া যায়। রুবেন তামরাজিয়ান, আরারাত চিরকিনিয়ান, ভাহে মুরাদখানিয়ান এবং আলফিয়া জুকারম্যান এই চার জনের বিরুদ্ধে বিমা জালিয়াতি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মূল্য ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি।