—প্রতীকী ছবি।
যত সময় এগোচ্ছে মায়ানমারের ভূমিকম্পের ধ্বংস়যজ্ঞের ভয়াবহতা আরও বাড়ছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। জখম সাড়ে চার হাজারেরও বেশি। এখনও খোঁজ নেই অন্তত ৪০০ জনের। দেশ, বিদেশের উদ্ধারকারীরা এসে পৌঁছোলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখনও বহু জায়গায় ধ্বংসস্তূপের তলায় মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে। এই ধ্বংসস্তুপের মধ্যে টানা ১৫ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার করা সম্ভব হয় এক বৃদ্ধা এবং তার দুই কিশোরী নাতনিকে। বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে একটি ছোট্ট ফাঁকা জায়গায় কোনও মতে প্রাণ হাতে করে বেঁচে ছিলেন তিন জন। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তিন জন ভাঙা কংক্রিটের মধ্যে কোনও রকমে বসে রয়েছেন। উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তাঁরা মাখন কাটার ছুরি দিয়ে সমানে কংক্রিটের উপর আঘাত করছিলেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তাঁরা সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আর্তনাদ করতে শুরু করেন। পরে উদ্ধারকারীরা তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। এর আগে এই তিন জন ভয়াবহ ১৫ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে ছিলেন।
একই ভাবে মান্দালয়ে একটি ধসে পড়া হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নীচে পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর দুই তরুণীকে উদ্ধারকারীরা খুঁজে পান। একই রকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন এই দু’জন। তাঁরা ধ্বংসস্তুপের মধ্যে ভাঙা ছাদের নীচে উপুড় হয়ে আটকে ছিলেন।
মায়ানমারে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃহত্তম শহর মান্দালয় এবং রাজধানী নেপিদো। দুর্ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। এর পরেও কি কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আবহাওয়া কেমন, জল ও বায়ু চলাচল কতটা হচ্ছে, তার উপরেও বাঁচার সম্ভাবনা নির্ভর করে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা কারও আঘাত যদি খুব গুরুতর না হয়, আবহাওয়া যদি খুব উষ্ণ বা খুব শীতল না হয়, তা হলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকা সম্ভব।