bizarre

বক্ষ স্পর্শ করলেই আসবে সৌভাগ্য! ঘণ্টায় অন্তত ৬০ জন চেপে ধরেন এই মূর্তিকে, প্রতিবাদে সরব ছাত্রী

পর্যটক ও স্থানীয়দের মূর্তিকে স্পর্শ করার হ্যাংলামো দেখে বিরক্ত ট্রিনিটি কলেজের ছাত্রী টিলি ক্রিপওয়েল। গত বছর থেকে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ‘লিভমলিএমঅ্যালোন’ নামে এই আচরণের প্রতিবাদ শুরু করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৮
molly Malone

ছবি: সংগৃহীত।

জনশ্রুতি রয়েছে, তাকে স্পর্শ করলে সৌভাগ্য কড়া নাড়বে দরজায়। সেই বিশ্বাসে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ জন মূর্তিটিকে স্পর্শ করেন। পর্যটক এবং স্থানীয়েরা প্রায়শই উদ্ভিন্নযৌবনা মূর্তিটির বুকের অংশে হাত দিয়ে ছবি তুলতে পছন্দ করেন। মূর্তিটি রয়েছে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে। এর পরিচিতি মলি ম্যালোনের ব্রোঞ্জ মূর্তি হিসাবে। ‘আদরের অত্যাচারে’ মিশকালো মূর্তির বক্ষ দু’টি চকচকে হয়ে উঠেছে। পর্যটক ও স্থানীয়দের মূর্তিকে স্পর্শ করার হ্যাংলামো দেখে বিরক্ত ট্রিনিটি কলেজের ছাত্রী টিলি ক্রিপওয়েল। গত বছর থেকে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ‘লিভমলিএমঅ্যালোন’ নামে এই আচরণে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। তাঁর এই প্রতিবাদে সাড়া দিয়েছে ডাবলিন সিটি কাউন্সিল। তারা জানিয়েছেমলি ম্যালোন মূর্তিটি পুনরুদ্ধার করা হবে। তাকে স্পর্শ করার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এক জন পাহারাদার নিয়োগ করা হবে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারকে টিলি জানান, এখানে এসে লোকেরা মলিকে স্পর্শ করে, দাঁড়িয়ে এবং সাধারণত পিছন থেকে মূর্তির বক্ষ ধরে ছবি তোলেন। এখানে এলে প্রায়শই দেখা যায় বিভিন্ন মানুষ তার স্তনে চুম্বন করছেন বা জড়িয়ে ধরছেন। এখানে এসে তাঁরা খুব জোরে চিৎকার ও হইচই করা শুরু করে দেন। টিলি এই মূর্তির পাশে গিটার বাজিয়ে গান করেন। তাঁর কাছে বিষয়টি বিরক্তির উদ্রেক করে। মূর্তিটির সম্ভ্রম আদায় করতে তিনি ডাবলিন সিটি কাউন্সিলেও গিয়েছেন। তরুণীর দাবি, অবিলম্বে মলি ম্যালোনকে উঁচু কোনও জায়গায় স্থাপন করা হোক ও পুরো মূর্তিটি পুনরায় রং করা হোক।

মূর্তির কাছে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাঁকেও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিলি। মলি ম্যালোনের মূর্তিটি আসলে জ্বরে মারা যাওয়া এক তরুণীর। কিংবদন্তি অনুসারে, মলি ১৭ শতকের ডাবলিনে থাকতেন এবং দিনের বেলায় ডাবলিনের রাস্তায় ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঝিনুক ও নানা সামুদ্রিক প্রাণী বিক্রি করতেন।

Advertisement
আরও পড়ুন