—প্রতীকী ছবি।
৫০ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়ের সন্তানের মা হলেন ১৭ বছরের কিশোরী। ওই ব্যক্তির সন্তানের সারোগেট মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন কিশোরী। এই কাজের জন্য প্রৌঢ় তাঁকে ৯ লক্ষ ইউয়ান বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা দিয়েছেন। যখন কোনও মা নিজে সন্তানধারণ করেন না তখন তাঁর হয়ে অন্য এক মহিলা ধারণ করেন সেই সন্তানকে। সন্তানধারণ যিনি করছেন, তিনি হলেন সেই শিশুর সারোগেট মা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। সমাজমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর এই নিয়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েটি দক্ষিণ চিনের গুয়াংজুতে অবস্থিত একটি সংস্থার মাধ্যমে সারোগেট হওয়ার জন্য সম্মত হয়। পরে সে যমজ সন্তানের জন্ম দেয়। এই ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেন শাংগুয়ান ঝেংগি নামের মানবপাচার বিরুদ্ধে সক্রিয় এক কর্মী। কিশোরীর সারোগেসির চুক্তি সমস্ত কাগজপত্রও প্রমাণস্বরূপ তিনি সামনে এনেছেন। সিচুয়ানের লিয়াংশান এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর জন্ম ২০০৭ সালে এমনটাই দাবি তাঁর। ২রা ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ চিনের গুয়াংডঙে সে যমজ সন্তানের জন্ম দেয়। ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর।
যমজ সন্তানের বাবার নাম লং জিয়াংসি প্রদেশের এক জন ৫০ বছর বয়সি প্রৌঢ়। লং চিকিৎসা সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকা) সারোগেসির মূল্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। চুক্তির অংশ হিসাবে তিনি বিশেষ ভাবে যমজ ছেলেদের অনুরোধ করেছিলেন। চুক্তিতে লেখা হয়েছিল নিজের গর্ভ ভাড়া দেওয়া ছাড়াও গর্ভধারণের জন্য ডিম্বাণুও দান করবেন কিশোরী। যমজ সন্তানের জন্মের পর শিশুদের জন্ম শংসাপত্র নেওয়ার জন্য কিশোরীকে স্ত্রী বলে পরিচয় দেন ওই প্রৌঢ় এমন অভিযোগ রয়েছে।
গুয়াংজু পৌর স্বাস্থ্য কমিশন একটি তদন্ত শুরু করেছে। চিনে সারোগেসি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ নয়। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের এই ধরনের কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। সারোগেসি সংস্থাটি অবৈধ ব্যবসায়িক এবং বেআইনি চিকিৎসা কার্যকলাপ জন্য অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।