ছবি: সংগৃহীত।
পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়েছিলেন তরুণ। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে চিৎকার করে কাঁদছিলেন। কিন্তু ‘ভূতের ডাক’ ভেবে তিন দিন পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করতেই গেলেন না স্থানীয়েরা। ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডে। তাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘ইউনিভার্সাল ডেলি নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ নভেম্বর তাই-মায়ানমার সীমান্তের কাছে তাক প্রদেশের মায়ে সোটে এলাকার জঙ্গল থেকে ‘অদ্ভুত’ চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়েরা। ‘ভূতের আওয়াজ’ ভেবে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। তিন দিন পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এবং উদ্ধারকর্মীরাও এসে ওই চিৎকার শোনেন। তদন্তের জন্য জঙ্গলে প্রবেশ করেন তাঁরা। হাঁকডাক শুরু করেন। পাল্টা আর্তনাদ শুনে শব্দের উৎস অনুসদ্ধান শুরু করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, জঙ্গলের মধ্যে একটি ১২ মিটার গভীর শুকনো কূপ রয়েছে। সেই কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছেন এক তরুণ। আধ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২২ বছর বয়সি ওই তরুণের নাম লিউ চুয়ানি। তাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। জঙ্গলের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে তিনি ওই কুয়োর মধ্যে পড়ে যান। বাম হাতের কব্জি ভেঙে যায় তাঁর। অনেক চেষ্টা করেও কুয়ো থেকে বেরোতে না পেরে চিৎকার করতে শুরু করেন। আর সেই চিৎকারকেই ‘ভূতের আওয়াজ’ ভেবে ভুল করেছিলেন গ্রামবাসীরা। লিউ জানিয়েছেন, তিন দিন কোনও খাবার এবং জল ছাড়াই ওই কুয়োয় আটকে ছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে এই রকম কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য কুয়োটি বুজিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।