Maoist Commander Surrender

মাথার মোট দাম ২৬ লক্ষ টাকা! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছত্তীসগঢ়ে আরও ২২ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের নেতা-কর্মীদের মাথার মোট দাম ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৯

—প্রতীকী চিত্র।

ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জন মাওবাদী। মঙ্গলবার বিজাপুরে মূলস্রোতে ফেরার সেই পথ অনুসরণ করলেন আরও ২২ জন মাওবাদী নেতা-কর্মী।

Advertisement

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের ওই নেতা-কর্মীদের মাথার মোট দাম ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি। এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে বলে বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্রকুমার যাদবের দাবি।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দু’শোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে ২০২০ সালের জুন মাসে ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘বাড়ি ফিরুন’) কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ছত্তীসগঢ়ে। সাম্প্রতিক সময় একই উদ্দেশ্যে শুরু হয় ছত্তীসগঢ় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) এবং ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (আপনার ভাল গ্রাম) প্রচার কর্মসূচি। যার পরিণামে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে সরকারি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিজাপুরের সুপার জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘অন্তঃসারশূন্য এবং অমানবিক মতাদর্শের প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে মাওবাদীদের। তাই এই আত্মসমর্পণের ধুম।’’

Advertisement
আরও পড়ুন