জুলাই। এই মাস, বাংলাদেশের আন্দোলনের ক্যালেন্ডার। যা দলিল হয়ে আছে ঢাকার দেওয়ালে দেওয়ালে।
পয়লা জুলাই থেকে শুরু। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দখল করে রাজপথ। মিছিলে মিছিলে স্লোগান ওঠে ‘একাত্তরের বাংলায়/বৈষম্যের ঠাঁই নাই’। রাষ্ট্রের বন্দুকের সামনে ছাত্ররা বলে ওঠে, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়/বুক পেতেছি গুলি কর’। সংরক্ষণ বনাম মেধার লড়াইয়ে পারদ তুঙ্গে। তখনই আগুনে ঘৃতাহুতি! শেখ হাসিনার ‘রাজাকার’ মন্তব্যে আরও জোরদার হয় আন্দোলন। বিস্ফোরণ ঘটে অতীতের জমা ক্ষোভের। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই আরও সংক্রমিত হয় আন্দোলন। ইন্টারনেট বন্ধ। জায়গায় জায়গায় কার্ফু। জনতার রাশ ধরতে এক প্রকার লকডাউনই জারি করে হাসিনা সরকার। হাজারের উপরে শহিদ। ডিসেম্বরে যে তালিকা অন্তর্বতী সরকার প্রকাশ করেছে, সেখানেই ৮৫৮ জন শহিদের নাম। পঞ্চাশেরও বেশি কিশোর গুলিতে নিহত। আহতের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
মুক্তিযুদ্ধ এখন অতীত। জেন জ়ি’র নতুন বাংলাদেশে অবিসংবাদী নায়ক আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধের মতো শহিদরা। সে কথাই জানান দিচ্ছে ঢাকা শহরে জুলাইয়ের দেওয়াল।