দুর্গাপুজোয় বোধন হয় পুজোর ১৩ দিন আগে। পুজোর তিন দিন হয় ছাগবলিও। পূর্ব বর্ধমানের কালিকাপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় এ ধরনের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। প্রায় ৩৫০ বছর প্রাচীন এই পুজোর ঐতিহ্য আজও রয়ে গিয়েছে।
কথিত, ৩৫০ বছর আগে এ পুজো শুরু করেন বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজার দেওয়ান পরমানন্দ রায়। সে ধারা বজায় রেখেছেন তাঁর অষ্টম পুরুষেরা। কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকলেও পুজোর সময় তাঁরা জড়ো হন কালিকাপুর রাজবাড়িতে। আজও যেখানে মহারাজ বিজয়চাঁদ এবং মহারাজ উদয়চাঁদের নামে ফি-বছর পুজো দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর প্রতি দিনই টেরাকোটার প্রাচীন একটি শিবের মূর্তি পুজো হয়। এই সপ্তমীর দিন কলাবৌকে চতুর্দোলায় করে স্নান করানো হয়। দুর্গাপুজোয় এক সময় প্রতি দিনই নাটক, যাত্রানুষ্ঠান হত।
আজকাল অবশ্য বিশাল এই রাজবাড়ির ভগ্নদশা। মাঝেমধ্যে বাংলা ও হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিংও হয়। এটাই এখন কালিকাপুর রাজবাড়ির প্রধান আয়ের উৎস।