Tehri Lake Cruise

সমুদ্র নয়, পাহাড়ঘেরা হ্রদের জলেই ভাসবে ক্রুজ়! দেশের কোথায় শুরু হবে পরিষেবা?

মুসৌরি থেকে কানাতাল হয়ে তেহরি লেকে পৌঁছনো যায় গাড়িতে। একবারে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই হ্রদটি। পাহাড়ি পাকদণ্ডী আর দিগন্তবিস্তৃত কাচের মতো স্বচ্ছ সবজে-নীল জলরাশির এক অদ্ভুত যুগলবন্দি রয়েছে এখানে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৫
Uttarakhand Tehri Lake

পাহাড়ঘেরা লেকের জলে ভেসে বেড়াবে ক্রুজ়। ছবি: সংগৃহীত।

পাহাড়ঘেরা বিশাল লেক। চোখের সামনে ধবধবে সাদা রাজহাঁসের মতো ভেসে বেড়াচ্ছে প্রমোদতরী, মানে ক্রুজ় শিপ!

Advertisement

শুনে প্রথমে সমুদ্রের কথা মাথায় এলেও এই পরিষেবা চালু হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের তেহরি লেকে। ২০২৫ সালের চারধাম যাত্রা এবং সাধারণ পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এই পরিষেবা চালু করছে উত্তরাখণ্ড পর্যটন বিভাগ।

মুসৌরি থেকে কানাতাল হয়ে তেহরি লেকে পৌঁছনো যায় গাড়িতে। একবারে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই হ্রদটি। পাহাড়ি পাকদণ্ডী আর দিগন্তবিস্তৃত কাচের মতো স্বচ্ছ সবজে-নীল জলরাশির এক অদ্ভুত যুগলবন্দি রয়েছে এখানে। ভাগীরথী নদীর উপর অবস্থিত এই জলাধারটি মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই তৈরি। তবে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে এই তেহরি লেক বেশ জনপ্রিয় নানা ধরনের জলক্রীড়া বা ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য।

পর্যটনশিল্পে জোয়ার আনতে তেহরি লেকে ক্রুজ় শিপ পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন ক্রুজ় শিপের ম্যানেজার বিজয় বিস্ত। তিনি বলেন, ‘‘তেহরি লেকের উপর অবস্থিত তেহরি বাঁধ। বিশ্বের সর্বোচ্চ বাঁধগুলির মধ্যে একটি হল তেহরি। এই পরিষেবা শুরু হলে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পথও প্রশস্ত হবে।”

তেহরি লেকে রাত্রিবাস করার জন্য বেশ কয়েকটি ভাসমান কটেজও রয়েছে। দূর থেকে দেখলে অনেকটা মলদ্বীপের মতো মনে হয়। তবে আগে থেকে বুকিং না করলে জায়গা পাওয়া বেশ ঝক্কির। আশপাশে অবশ্য থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা সংখ্যায় কম। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার জন্য লেকের মাঝখান দিয়ে রজ্জুপথ, অর্থাৎ রোপওয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন